সালেহ্ বিপ্লব: [২] খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়, রাজনৈতিকভাবে এটাই বিএনপির সর্বশেষ অবস্থান। এখন লক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা। আর কীভাবে এই আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সেই পরামর্শ চেয়েছিলেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের কাছে।
[৩] সেই লক্ষ্যেই বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় দিন ধারাবাহিক বৈঠকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে।
[৪] প্রথমতিন দিনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলী এবং ৯টি অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয়।
[৫] ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৬ দিনের ধারাবাহিক বৈঠক।
[৬] ছয় দিনের বৈঠকে মোট ৪৯১ জন সদস্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে প্রায় তিনশ নেতার মতামত শুনেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শেষ দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন,‘সংগঠনের অবস্থা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
[৭] মহাসচিব বলেন, যারা আলোচনা করে্ছেন তাদের সব বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে আমাদের দলের নীতিনির্ধারণীয সভায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তখন আপনারা জানতে পারবেন আমরা কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
[৮] ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বে নেয়ার পরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাথে তারেক রহমানের এটিই প্রথম বৈঠক।
আপনার মতামত লিখুন :