শিরোনাম
◈ প্রতিটি জেলা শহরে শিশু হাসপাতাল স্থাপন করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ অব্যাহত থাকবে তাপ প্রবাহ ◈ আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দিচ্ছেন মেসি ◈ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্চালন লাইন, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ ◈ রম্য রচনার জন্য ডেইলি স্টারের কাছে মেয়র তাপসের ১শ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ◈ লক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, নিহত ১ ◈ কথা বলতে পারছেন না সিরাজুল আলম খান  ◈ বর্তমানে ১৬ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিন টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী  ◈ কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার দিল বিশ্বব্যাংক  ◈ শহর বাঁচাতে সিএস দাগ অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে: মেয়র আতিক 

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:২১ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসান মামুন: করোনার পুনঃসংক্রমণ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে

হাসান মামুন : করোনার রি-ইনফেকশন বা পুনঃসংক্রমণ নিয়ে মনে হয় কম আলোচনা হচ্ছে। সংক্রমণ বিষয়ক আলোচনাও কমে গেছে মাস্ক পরা আর সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারটা নতুন করে ওঠে যাওয়ার পর। আমি কিন্তু পরিচিত কারও কারও রি-ইনফেকশনের খবর পাচ্ছি; আভাসও। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও লোকজন যেমন আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি আক্রান্ত হওয়ার ক’মাস পরই নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারটা বিশ্বজুড়েই রয়েছে। এর হার কম, তবে অনুল্লেখযোগ্য নয়।

দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে লোকে টেস্ট করাতে যায় কমই। তাই এর হারটা ঠিকমতো জানা যাচ্ছে না। প্রথম সংক্রমণের সঠিক চিত্রও কি পাওয়া যাচ্ছে বিশেষত আমাদের মতো দেশে? যাহোক, রি-ইনফেকশন নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে বিশেষত তাদের, যাদের প্রথম আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি মারাত্মক ছিলো না। অল্পের ওপর দিয়ে গেছে যাদের। যেমনটা হয়েছিলো আমার। হালকা সর্দি-কাশি, মাথা ভার হয়ে যাওয়া আর দু’দিন গলায় ব্যথা। তারপর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি মাস দুয়েক হয়ে গেলো। একদল ভারতীয় বিশেষজ্ঞ বলছেন, আক্রান্ত হওয়ার পর ১০২ দিন চলে গেলেই আর নিরাপত্তা দিতে পারছে না দেহের এন্টিবডি। কতোদিন পর থেকে করোনার রি-ইনফেকশন সম্ভব, সেটা নিশ্চিত করে বলার মতো জ্ঞান সত্যি বলতে এখনও অর্জন করা যায়নি। কোন টিকা করোনার কোন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, তাও তো এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কতোদিন অবদি সুরক্ষা দেবে, সেটাও নিশ্চিত নয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো সংক্রমণ ঘটলেও করোনায় মৃত্যু ঠেকানো।

দ্বিতীয় উদ্দেশ্য মারাত্মক ভোগান্তি রোধ। হাসপাতালে একযোগে চাপ যেন না পড়ে। চিকিৎসা ব্যয় মিটিয়ে লোকে যাতে ফতুর হয়ে না যায়, সে উদ্দেশ্যও আছে। এভাবে লড়তে লড়তে করোনাকে একটা সাধারণ ফ্লুর স্তরে নামিয়ে আনাটাই লক্ষ্য। তবে যে গতিতে কাজকর্ম হচ্ছে, তাতে সে লক্ষ্য অর্জন সহজে আর দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে না। এর মধ্যে একের পর এক ঢেউ আসবে করোনার আর আমাদের আবার কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হবে। লকডাউন ইত্যাদি আরোপ করা হবে। যাপিত জীবনে নেমে আসবে নতুন বিপর্যয়। এর মধ্যে রি-ইনফেকশনের আলোচনাটা যেন থাকে। ভ্যাকসিনেশন ও আক্রান্ত হওয়ার ফলে সবার এন্টিবডি নাকি সমানভাবে তৈরি হয় না। রি-ইনফেকশনে মারাত্মক কিছু ঘটবে না বলে ধরে নেওয়া তাই ঠিক নয়। আর একেক সময়ে একেক ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যেহেতু রয়ে গেছে, তাই দুশ্চিন্তা থাকছেই। নিজেকে অব্যাহতভাবে পালটে চলা একটা ভাইরাসকে মোকাবেলা তো সহজ নয়। যেসব দেশ বা অঞ্চল প্রাথমিকভাবে সাফল্য দেখিয়েছিল করোনা মোকাবেলায়, তারাও দেখি নতুন করে বিপদগ্রস্ত হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়