খালিদ আহমেদ : [২] চলচ্চিত্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোলেন্সার স্টুডিও এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে মুক্তির আগে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটির প্রিমিয়ার হবে।
[৩] বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মানো খোকা কীভাবে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখাতে পারেন সেই পথচলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। এই ছবিটির চিত্রনাট্য করেছেন ফাহাদ চিশতী কানন ও ইবনে কবির। পরিচালনায় সোহেল মোহাম্মদ রানা, মূল চরিত্রের ডিজাইনার আরাফাত করিম।
[৪] এই ছবিটি মূলত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার লেখা 'শেখ মুজিব আমার পিতা' বইটির ওপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর লেখা 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটির শরণাপন্নও হয়েছে নির্মাতা। দৃশ্যপট তৈরি, নকশা ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে ট্র্যাডিশনাল প্রক্রিয়ায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে প্রথম কথোপকথন থেকেই শুরু হয় মুজিবের রাজনৈতিক পথচলা। এই ছবিতে মূলত প্রাধান্য পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময়কাল।
[৫] পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, অ্যানিমেশন ফিল্মে নির্মাতারা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের কল্পনা বা আইডিয়াকে স্থান দেন। ইতিহাসভিত্তিক ছবি নির্মাণে সেই সুযোগটা থাকে না। এখানেই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা আমাদের মূল উৎস 'শেখ মুজিব আমার পিতা' বইটিতেই শুধু সীমাবদ্ধ থাকিনি, বরং সেখানে উল্লেখিত ঘটনাবলিকে যাচাই করার জন্য অন্যান্য স্বীকৃত বইয়ের সাহায্যও নিয়োছি।
[৬] অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি নির্মাণে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে। বলে জানানো হয়েছে। গবেষণা ও চিত্রনাট্য প্রস্তুতের পর প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয় গত বছরের জানুয়ারিতে। শতাধিক কলাকুশলীর শ্রমে নির্মিত হয়েছে ‘মুজিব আমার পিতা’।
[৭] এ প্রসঙ্গে প্রোলেন্সার স্টুডিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি নির্মাণের লক্ষ্যে তরুণদের নিয়ে বিশাল একটা দল গঠন করি। তাদের জন্য কর্মশালার আয়োজন করি।
আপনার মতামত লিখুন :