শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা আরো বলেছেন,সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধিনে থাকবে। আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হলে তবেই দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে।
[৩] জি এম কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করলে, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। তাই, আইন করে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে পারলে সকল নির্বাচন ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান হবে।
[৪] বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
[৫] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন,এভাবে চলতে থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো হবে নাম ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব রাজনৈতিক শক্তি। নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা টিকতে না পারলে রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বশূন্য হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে, নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে।
[৬] তিনি বলেন, দেশের মানুষও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। বিরাজনীতিকরণ দেশ ও মানুষের জন্য কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের প্যারালাল ভাবে সরকার ক্ষমতা প্রয়োগ করলে নির্বাচন কমিশন কখনো সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের বিকল্প নেই। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ