শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:০৭ দুপুর
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গ্রাম্য চৌ‌কিদার জলিল হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন

শরীফা খাতুন : [২] খুলনার পাইকগাছা উপ‌জেলার আ‌টিপাড়া বাজা‌রে দুর্বৃত্তের ছোড়া গু‌লি‌তে গ্রাম্য চৌ‌কিদার আব্দুল জ‌লিল হত্যা মামলায় দুই আসা‌মি‌কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত।

[৩] সাজাপ্রাপ্ত আসা‌মিরা হ‌লেন, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপ‌জেলার রেজওয়ান গোলদা‌রের ছে‌লে শহিদুল গোলদার ও পাইকগাছা উপ‌জেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রা‌মের সুলতান শে‌খের ছে‌লে আ‌নোয়ারুল শেখ।

[৪] একই স‌ঙ্গে তা‌দের দুই জন‌কে ১০ লাখ টাকা জ‌রিমানা ও অনাদা‌য়ে আরও ১ বছ‌রের জেল দি‌য়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসা‌মিরা পলাতক ছি‌লেন।

[৫] বৃহস্প‌তিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনা‌লের বিচারক মোঃ নজরূল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা ক‌রেন।

[৬] মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালে পাইকগাছা থানার পুলিশ জানতে পারে ওই দিন অস্ত্রের একটি চালান কাটিপাড়া বাজার এলাকা দিয়ে যাবে। এটা জানতে পেরে পুলিশ বাজারে চেকপোস্ট বসায়। সকলের দেহ তল্লাশি করতে থাকে পুলিশ। এরই মধ্যে পাইগাছার চিহ্নিত তিন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে দুপুর ২ টার দিকে কাটিপাড়া বাজারে পৌঁছায়। বাজারে পৌঁছানো মাত্র পুলিশ তাদের গতি রোধ করে। এসময় পুলিশ সদস্য দীপংকর তাদের কাছে পৌঁছানো মাত্র সন্ত্রাসী শহিদুল কোমর থেকে পিস্তল বের করে পুলিশের গলায় ঠেকিয়ে ধরে। শুরু হয় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এটা দেখে গ্রাম্য চৌকিদার জলিল তাদের নিকটে গেলে শহিদুল তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি জলিলের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরপরই পুলিশের অন্য সদস্য জামাল এগিয়ে গেলে তার কাছ থেকে রাশেদ গোলদার রাইফেল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে পুলিশের হাতে আটক হয় ঘাতক শহিদুল গোলদার।

[৭] এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার।

[৮] ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশের খোয়া যাওয়া রাইফেল ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় তিন দফায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রীর নারাজি আবেদনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরও তিনজনের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয় চার্জশিটে। তারা হলেন- ওই এলাকার মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়ল।

--

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়