আহসান হাবিব: নারীর তার একটি বিশেষ অঙ্গের জন্য প্রকৃতির কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। সেই অঙ্গটি হচ্ছে স্তন। এটি এমন একটি অঙ্গ যা তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষকে কুপোকাত করার জন্য যথেষ্ট। যদিও প্রকৃতির অভিপ্রায় হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে তার একটি বিশিষ্ট প্রজাতিকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা। কে না জানে মানবপ্রজাতি তার নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখতে যে খাদ্যের প্রয়োজন হয়, তা এই স্তনের মধ্য দিয়ে সরবরাহ করে। স্তন শুধু খাদ্য দিয়ে প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রাখে না, পুরুষের চোখে নারীর দেহের সবচাইতে আকর্ষণীয় অঙ্গই হচ্ছে এ স্তন।
এটা প্রকৃতি বুঝেছে, ফলে সে নারী দেহের এমন একটি স্থান নির্বাচন করেছে, যা সহজেই চোখে পড়ে এবং তার গঠন এমনভাবে নির্মাণ করেছে, সৌন্দর্যের দিক থেকেও যার তুলনা নেই। স্তন নারীর দৈহিক গঠনকে দিয়েছে এক নান্দনিক সৌকর্য। প্রকৃতি তাই নারী দেহ গঠনে এর গুরুত্ব বুঝে একে সঠিকভাবে নির্মাণ করেছে এবং নারী তার সৌন্দর্যের চাবিকাঠি হিসেবে স্তনের এই ভূমিকা বুঝতে পেরেছে, ফলে পুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য সে এর ব্যবহারে সব সময় থেকেছে সচেতন। যৌনতার পক্ষে পুরুষের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করার জন্য স্তনকে বিবিধভাবে উপস্থাপন করেছে।
কখনও সে সামান্য অংশ অনাবৃত রেখেছে, কখনও তার ক্লিভেজ উন্মুক্ত রেখেছে, কখনও সম্পূর্ণ ঢেকে রেখেছে। অন্তর্বাস দিয়ে তার আকারকে পুরুষের চোখে লোভনীয় করে তুলেছে। সবকিছুই সে করেছে স্তন, নারীর এমন একটি পাওয়ার যা দিয়ে তার প্রতিপক্ষ ও বিপরীত লিঙ্গ পুরুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে রাখতে সমর্থ হয়েছে। আর পুরুষ, বোকার হদ্দ, তার ফাঁদে পা দিয়ে ছুটছে তো ছুটছে যেন সে একটা গাধা সামনে মূলা ঝুলছে তো ঝুলছে। আর এ নিয়ে নারীবাদীরা পুরুষকে গালি দিচ্ছে তো দিচ্ছে। লেখক: ঔপন্যাসিক
আপনার মতামত লিখুন :