শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৫১ রাত
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দিপু তৌহিদুল: শিক্ষানীতি রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নয়

দিপু তৌহিদুল: মানুষ জন্ম নিয়েই পরিবারের পালিত ধর্মটাকে অটোমেটিক পেয়ে যায়। সে কারণেই স্কুল কারিকুলামে আলাদা করে ধর্ম শিক্ষা গুরুত্ব দেখি না। মসজিদ ও মাদ্রাসা মক্তব ধর্মীয় শিক্ষার দায়িত্ব পালন করতে পারে। যে মানুষরা তাদের সন্তানকে ধর্ম শিক্ষা দিতে অক্ষম, তারাই ধর্ম নিয়ে অতি বাড়াবাড়িটা করে থাকে। স্কুলে ধর্ম শিক্ষা সময় নষ্ট করা, যার ধর্ম শিক্ষা নেয়ার দরকার সে মসজিদ থেকেই এই শিক্ষাটা নিক না, দেশের লাখ লাখ মসজিদ আছে কী কারণে? মসজিদ কি শুধু জামাত করে নামাজ পড়ার জন্য? আমি নিজে স্কুলের ধর্ম শিক্ষা থেকে ধর্মের বিন্দুমাত্র কিছুই শিখিনি। যা পড়ছি, তা পাশ করার জন্য পড়ছি, এই পড়াটা ছিলো বেহুদা। ধর্ম পালন শিখছি পরিবারের মুরুব্বি আর মসজিদের মক্তবে। নৈতিক শিক্ষাও স্কুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরঞ্চ স্কুলে ম্যানার শিক্ষাটা জরুরি।

এটা খুব সত্যি বাংলাদেশের মানুষের ম্যানারে মারাত্মক সমস্যা রয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, আমলা এবং গণমাধ্যম যেভাবে নৈতিক শিক্ষা শেখাচ্ছে- সেক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো নৈতিক শিক্ষা নেবার কোনো প্রয়োজন দেখি না। এতে বরং কনফ্লিকটটা বাড়বে। আপনারে সৎ হতে বলে আমি চুরি করে বড়লোক হয়ে যাবো- এটা হয় না, এর চাইতে চুরির কৌশলগুলি প্রকাশ্য হলেই সমতা আসবে। বাংলাদেশে ২০২৩ সাল থেকে তৃতীয় শ্রেণী থেকে কোনো বার্ষিক পরীক্ষা থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নবম দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ইত্যাদি বিভাগ থাকবে না। একজন শিক্ষার্থী কোন বিভাগ নিয়ে পড়বে, সেটা ঠিক করবে একাদশ শ্রেণীতে গিয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নতুন শিক্ষা নীতি কি বাংলাদেশের জন্য উপযোগী? কারা কারা এই নতুন শিক্ষা নীতিটা প্রণয়ন করেছেন? এই শিক্ষা নীতিটা করার আগে কোন কোন শিক্ষক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে এবং তাদের মতামত কী ছিলো? দেশের নাগরিক হিসেবে এইসব সবার জানা খুবই জরুরি, নইলে নতুন শিক্ষা নীতি সফল হবে কিসের ভিত্তিতে।

জাতীয় শিক্ষানীতি পরিবর্তন করার আগে নাগরিক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং ছাত্র ছাত্রীদের মতামত নেয়া এবং সেসব প্রকাশিত হওয়া জরুরি কাজ ছিলো। হুট করে কোনো কিছু চাপাতে গেলে জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিটা নিয়ে এখন যে ভাবে খুব বেশি সমালোচনা হচ্ছে সেটাকে পজিটিভলি গ্রহণ করে এর খুঁতগুলিকে কারেকশন করা উচিত। শিক্ষা নীতির বদল হতেই পারে, কিন্তু সেটি অবশ্যই জাতীয় ভাবে সকল মহলের নিকট গ্রহণযোগ্য হতে হবে। শিক্ষানীতি রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নয়, আপনার আমার যেভাবে ইচ্ছে করে ফেললাম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়