আয়াছ রনি: [২] বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) “দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ” প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় কক্সবাজার শহরের কাছে আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ স্থানে উপস্থিত সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন চালু হলে ব্যাপক হারে পর্যটকের আগমন হবে।
[৩] রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, কক্সবাজার রেললাইন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। রেললাইন চালু হলে কক্সবাজারে পর্যটকদের ব্যাপকহারে আগমন ঘটবে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে।
[৪] আইকনিক স্টেশনের বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এখানে যাত্রীরা এসে থাকতে পারবে, এমনকি তাদের মালামাল রাখার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
[৫] এই প্রকল্পের এখনো কিছু মামলা রয়ে গেছে ‑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলাগুলো পরিবারকেন্দ্রিক। তবে প্রকল্পের স্বার্থে ব্যক্তিরা তাদের জমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিয়ে দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সব কিছু এখন নিষ্পত্তি হচ্ছে। এটি ট্রান্সএশিয়ান রেললাইনের একটি অংশ। ভবিষ্যতে মিয়ানমার তাদের অংশ করলে গুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত নতুন ১৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হবে বলে মন্ত্রী জানান। কক্সবাজারে বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে এবং এখানকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
[৬] রেলপথমন্ত্রী পরে নির্মাণাধীন রেললাইন পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৬ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :