লিহান লিমা: [২] খাদ্য নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রাক্কালে জাতিসংঘ বলেছে, জলবায়ু সংকট, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ এবং কোভিড মহামারী পুষ্টির অগ্রগতিকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশে দুই বছরের নিচে মাত্র এক তৃতীয়াংশ শিশু তাদের সুস্থ বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন তা পাচ্ছে এবং গত এক দশকে তাদের তাদের পুষ্টিক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয় নি। গার্ডিয়ান
[৩]প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী অর্ধেক শিশুকে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় নূন্যতম খাবার খাওয়ানো হয় নি এবং এমনকি তারা নূন্যতম চাহিদা পূরণের জন্য খুব স্বল্প খাবার পেয়েছে।
[৪] খাদ্যাভাসের এই অপ্রতুলতার কারণে শিশুরা স্কুলে পিছিয়ে পড়তে পারে, অসুস্থতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে এবং অপুষ্টির প্রভাবজনিত সমস্যা-অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলকায় এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত সমস্যায় পড়তে পারে।
[৫]ইউনিসেফের মতে, বিশ্বে ২ বছর কম বয়সী ১ কোটি ১০ লাখ শিশু অপুষ্টিজনিত সমস্যার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউনিসেফ-ইউকে এর স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক জেনিভন বলেন, সারা বিশ্বে লাখ লাখ দরিদ্র শিশুর বিকাশ ও পরবর্তী জীবন সীমিত পুষ্টির দ্বারা প্রভাবিত হয়।
[৬]গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামীণ বা দরিদ্র পরিবারের শিশুদের পুষ্টি সবচেয়ে খারাপ। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৬ থেকে ২ মাস বয়সী ৬২শতাংশ শিশু নূন্যতম খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ১৯ শতাংশের কম।
আপনার মতামত লিখুন :