সাকিব এ চৌধুরী: [২] সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি ফেসবুকের পর ইউটিউবেও রেকর্ড গড়েছেন। বর্তমান সময়ে দেশের শীর্ষ অনেক রাজনীতিবিদকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় হতে দেখা গেলে গোলাম মাওলা রনি অনেক আগে থেকেই এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামটি ব্যবহার করে আসছে।
[৩] ২০১৩ সালের জুলাই মাসে জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যাম ডয়চে ভেলে তাদের একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিল ‘ফেসবুকে রেকর্ড গড়ছেন গোলাম মাওলা রনি’। সেই প্রতিবেদনে ডয়চে ভেলে জানায়, ‘সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে আর কোনো বাংলাদেশি সাংসদ সম্ভবত এতটা সক্রিয় নন।
[৪] গোলাম মাওলা রনি এক্ষেত্রে অনন্য। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সংসদ সদস্যের মতো তিনিও সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুককে নিজের আনুষ্ঠানিক প্রচার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো তাই গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে বক্তব্য হিসেবে’।
[৫] সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ফেসবুকের পাশাপাশি ইউটিউব জনপ্রিয় হয়ে উঠলে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া এই আলোচিত রাজনীতিবিদ ইউটিউবেও বর্তমানে বেশ সরব হয়েছেন। দুই বছর ধরে তিনি নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছেন। দেশ বিদেশের রাজনীতি ও সমাজের নানান বিষয়ে ইউটিউবে কথা বলছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি প্রায় ১ হাজার ভিডিও আপলোড করছেন তার ইউটিউব চ্যানেলে।
[৬] দুই বছরে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখের উপরে। ভিডিও গুলো দেখা হয়েছে ৪৫ কোটি বারের বেশি। বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় কিংবা বহুল পরিচিত সিনিয়ির কোনো রাজনীতিবিদকে এখন অবধি গোলাম মাওলা রনির মতো এত পরিমাণ কন্টেন্ট নিজে তৈরী করে আপলোড করতে এবং সাবস্ক্রাইব পেতে দেখা যায়নি।
[৭] তবে গোলাম মাওলা রনির আপলোডকৃত কিছু ভিডিওতে দেওয়া শিরোনাম ও থামনেইল নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজনকে। অনেকের মতে, গোলাম মাওলা রনির কন্টেন্টগুলো তথ্য বহুল ও সমাজ এবং রাজনীতির জন্য তা ইতিবাচক। তাই তাকে শিরোনাম ও থামনেইল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ তাদের তা নাহলে কিছু মানুষ পুরো ভিডিও না দেখার কারণে বিভ্রান্ত হতে পারে।
ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :