অজয় দাশগুপ্ত: কদিন ধরে সামাজিক মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ট্রল চলছে। ব্যক্তিগত মানুষ হিসেবে তার ভুল বাংলা বানানে লেখা কথার গুরুত্ব যতোটা, তারচেয়ে বেশি এখানে অন্যকিছু। সেটা বলার আগে বলি, উপমহাদেশে শ্রীকৃষ্ণকে চেনেন না এমন মানুষ নেই। তাঁকে যারা ভগবান মানেন তারা যেমন চেনেন, যারা মানেন না তারাও চেনেন। অবতার রূপে পরিচিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যদু বংশ ধ্বংস করেছিলো তার পুত্র শাম্ব। পুত্রের কারণে মহাভারতের যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলো বড় বড় বীরেরা। কৌরবদের ঘটেছিলো মৃত্যু ও পরাজয়।
উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস কী বলে? মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিলো নাথুরাম গডসে, কিন্তু তাকে তার পুত্রের মতো কেউ অপমান করেনি। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সবাইকে বশ করলেও কন্যারক পারেননি। দীনা জিন্নাহ লিখে বলেছেন, ‘সি হেইট হার ফাদার’। পাকিস্তানের জাতির জনকের কন্যা ভারত ছেড়ে যাননি পাকিস্তানে। ইন্দিরা গান্ধীর মতো অসাধারণ তেজী ও একাত্তরের পর অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠা প্রধানমন্ত্রী ভোটে হেরে জেলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্জয় গাঁধীর ভুলও উগ্র আচরণে।
দেশেই দেখুন। বেগম জিয়ার এই করুণ পরিণতি গৃহবন্দী বা কারাগারে থাকার জন্য দল বা শাসন যতোটা তারচেয়ে বেশি দায়ী পুত্র। পুত্রের কার্যকলাপ। সোহেল তাজ আপনি আমার কাছে ম্যাটার করেন না। পরীমণিকে নিয়ে কথা বলা বা সংকীর্ণ মতামত দেওয়ার আগে মনে রাখবেন আপনি কার ছেলে? যে মানুষটি সাদা হাফ হাতা সার্ট পুরনো কালো ফ্রেমের চশমায় উজ্জ্বল, যাঁর নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা ত্বরান্বিত ও নিশ্চিত হয়েছিললো তার একমাত্র পুত্র বডি বিল্ডার হতেই পারে। কিন্তু যা খুশি তা বলে ভুলভাল লিখে পিতার ইমেজ নিয়ে খেলা করতে পারে না। আপনার রুচিকে ধিক। তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র কী এই সত্যটা মানেন? লেখক : কলামিস্ট