শিরোনাম
◈ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: বিএনপি ◈ সরকারের ফাঁদে পা দেইনি, দল ছাড়িনি, ভোটেও যাইনি: মেজর হাফিজ ◈ আমার একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে অভিযান নয়, আলোচনা চায় মালিকপক্ষ ◈ বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাবো, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের  ◈ হলমার্ক মামলায় তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন ◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ, দেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজউক ◈ সিলেটে পিকআপ-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ৩ ◈ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজায় ফিলিস্তিনিরা: জাতিসংঘ

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:০৯ দুপুর
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নামিদামি অফিসই ছিল তাদের টার্গেট, গ্রেপ্তার ৭

মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সুউচ্চ টাওয়ারে অবস্থিত নামিদামি অফিসে চুরির জন্য টার্গেট করে একটি চোর চক্র। এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে টার্গেট করা অফিসকে দুই থেকে তিনদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর চুরির কৌশল রপ্ত করেন। টার্গেট করা এসব অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকা-পয়সা চুরি করে সুকৌশলে বের হয়ে চলে যেতেন তারা।

[৩] তিনি আরও বলেন, সোমবার রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লা জেলায় অভিযান চালিয়ে এমনই একটি চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি উত্তরা বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মূলহোতা জামাল উদ্দিন, শফিক ভূইয়া ওরফে বাছা, বাছার স্ত্রী মুক্তা আক্তার, জসিম উদ্দীন, কাদের কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল, আল আমিন। তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, একটি লোহার রেঞ্জ, তিনটি হ্যাকস ব্লেড, একটি প্লায়ার্স, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার, ও ২০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। উত্তরা প্যারাডাইস টাওয়ারে চুরির ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

[৪] তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যরা আগে চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় চুরি করলেও গত তিন বছর ধরে চক্রটি ঢাকায় চুরি করা শুরু করে। নামিদামি অফিসে চুরি করে চক্রের দুই সদস্য দালান বাড়িও গড়ে তুলেছেন। ইতোমধ্যে যেসব অফিসে চুরি হয়েছে তাদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি না থাকায় এতদিন এ চক্রটি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। জামালের বিরুদ্ধে ১০টির বেশি চুরির মামলা রয়েছে। অফিস টাইম শেষ হলে প্রথমে চক্রের সদস্যরা সুউচ্চ ভবনে খোলা থাকা অফিসে গিয়ে রিসিপশনে সময় কাটাতে থাকেন এবং পাশের বন্ধ থাকা অফিস রেকি (পর্যবেক্ষণ) করেন।

[৫] মাহবুব আলম আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা আদাবর টাওয়ারের চতুর্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপে, কাকরাইল নাসির উদ্দিন টাওয়ারের দশম তলায় আমিন গ্রুপে, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯তলায় অ্যাসিউর গ্রুপে, বাড্ডার রূপায়ন টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত সফট লিংক কোম্পানিতে ও সপ্তম তলায় অবস্থিত এক্সজিবল কোম্পানির অফিসে চুরি করেন।

[৬] তিনি বলেন, অনেক অফিসে সিসি ক্যামেরা থাকলেও নজরদারির অভাবে চুরি হলেও চোর শনাক্ত করা যায় না। সিসি ক্যামেরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য একজন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়