কল্লোল মোস্তফা: ই-কমার্সের ফাঁদ থেকে বাঁচতে গ্রাহকদের লোভ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেসঙ্গে গ্রাহকদের লোভ কমাতে জনস্বার্থে প্রচারণা চালানোর পরামর্শও দিয়েছেন আদালত। ‘সূত্র: ই-কমার্স গ্রাহকদের লোভ কমানোর পরামর্শ হাইকোর্টের, যুগান্তর অনলাইন, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১’। কিন্তু গ্রাহকরা লোভের ফাঁদে পড়েন তখনই যখন কেউ না কেউ লোভের ফাঁদ পাতে। আর লাখ লাখ মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলার জন্য গুটি কয়েক প্রতারকই যথেষ্ট। মাননীয় আদালত, লাখ লাখ গ্রাহকদের লোভ সংবরণ করতে বললেন, লাখ লাখ গ্রাহকদের সচেতন করার কথাও বললেন কিন্তু গুটি কয়েক লোভ দেখানো প্রতারকদের দমণ করবার জন্য কি সরকারকে কিছু বলেছেন?
কোনটা বাস্তবায়নযোগ্য মাননীয় আদালত-লাখ লাখ মানুষকে লোভ সংবরণ করার নসিহত করে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করা নাকি গুটি কয়েক প্রতারককে প্রতারণা করতে না দেওয়া? দুনিয়ার দেশে দেশে সরকারের কাজ কি লাখ লাখ মানুষকে লোভ সংবরণ করতে শেখানো নাকি প্রতারকেরা যেন লাখ লাখ মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলতে না পারে প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা? যে দেশের অনলাইনে সরকারের সমালোচনা করলে মানুষকে জেলে নেওয়ার লোকের অভাব হয় না, সে দেশের অনলাইনে গুটি কয়েক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কি করে দিনের পর দিন রীতিমত বিজ্ঞাপন দিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিতে পারছে- সে প্রশ্ন কি তুলেছেন মাননীয় আদালত? সরকারের কাছে জবাব কি চেয়েছেন একবার? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :