শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:৫১ রাত
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রপ্তানিমুখী বস্ত্র শিল্পের উদ্যোক্তাদের মুখে ফুটছে দিন বদলের হাসি

মো. আখতারুজ্জামান : [২] বৈশ্বিক মহামারী শুরুর আগে থেকেই দেশের রপ্তানিমুখী শিল্প বস্ত্র খাতের পণ্য অবিক্রিত অবস্থায় ছিলো। দুই বছর আগেও লোকশান গুনতে হয়েছে এ খাতের বিনিয়োগকারীদের। দু’বছর পরে এসে সেই খাতে বিনিয়োগে হিড়িক পড়েছে। বিনিয়োগের চিত্রই বলে দেয় যে, এ খাতের এখন সুদিন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন গ্যাসের চাপ কম থাকায় নতুন সমস্যায় পড়েছে বস্ত্রখাত।

[৩] বস্ত্র খাতের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) তথ্যমতে, চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ১০টি নতুন বস্ত্রকল বিটিএমএ’র সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এসব কারখানা চলতি বছর থেকে শুরু করে আগামী দুই বছরে উৎপাদনে আসবে।

[৪] নতুন এ কারখানাগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশীয় বস্ত্রকলগুলো নিট পোশাকের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ সুতা ও কাপড় সরবরাহ করে। আর ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে জোগান দেয় ৪০ শতাংশ। ফলে করোনার আগেও বস্ত্র খাতে বিনিয়োগের সুযোগ ছিল। কমবেশি বিনিয়োগও হয়েছে। যেমন ভিয়েলাটেক্স গ্রুপ ২০১৮ সালে তাদের স্পিনিং মিলের স্পিন্ডলের সংখ্যা ৪২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৩২ হাজারে উন্নীত করেছে।

[৫] বিটিএমএ’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক জানান, দুই বছর আগেও আমাদের বস্ত্রখাত খুব খারাপ অবস্থান ছিলো। করোনার শুরুর বছরে আরও খারাপ অবস্থায় চলে যায়। তবে এখন সেই অবস্থান থেকে বেড়ি এসেছে। বায়ারা তাদের ক্রয় আদেশ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরা অর্ডার দিতেই হিমশিম খাচ্ছি। শুধু নীটের অর্ডার গত বছরের তুলনায় এ বছর ২২ শতাংশ বেড়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক।

[৬] তিনি বলেন, আমাদের অর্ডার বেড়েছে। তবে গ্যাসের চাপ কম থাকায় উৎপাদন কমেছে ৫০ শতাংশ। সরকার যদি আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। উল্টো আমাদের ক্ষতিমুখে পড়তে হবে। সরকারের কাছে আমরা অনেক আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি বিদেশ থেকে শিল্পখাতের এলএমজি নিয়ে আসার জন্য।

[৭] বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মাহামারী পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বায়ারদের মধ্যে তৈরি পোশাক ক্রয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুতা ও কাপড়ের চাহিদাও বাড়ছে। তবে বিদেশি ক্রেতারা ক্রয়াদেশ থেকে পণ্য জাহাজীকরণ পর্যন্ত সময় আগের চেয়ে কম দেওয়ায় সেই চাপ এসে পড়েছে দেশীয় বস্ত্রকলের ওপর।

[৮] গত বছর করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সরকারের পক্ষ থেকে এ খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই দফায় সর্বমোট আট হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল এবং এতে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়েছিল মাত্র ২ শতাংশ।

[৯] নতুন বিনিয়োগের ফলে আগামী দুই বছরে স্পিনিং খাতে ২০ লাখ স্পিন্ডল যোগ হবে। তা ছাড়া কাপড় উৎপাদনের নতুন মিলও আসবে। এমন তথ্য দিয়ে বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বিশ্বখ্যাত দু-তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে মেশিন কিনে থাকেন। প্রচুর বিনিয়োগ হওয়ায় সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী দুই বছরের জন্য বুকড। নতুন করে কেউ মেশিনের ক্রয়াদেশ দিলে তা ২০২৪ সালের আগে পাবে না।

[১০] প্রচুর বিনিয়োগের কারণ সম্পর্কে বিটিএমএর সভাপতি বলেন, গত ২০ বছরে অনেকগুলো মিল ব্যবসা থেকে বেরিয়ে গেছে। অনেকে আবার আধুনিকায়ন করতে না পেরে পিছিয়ে গেছে। তা ছাড়া পাঁচ বছর পরপর বস্ত্রশিল্পে একটি সংস্কার হয়। সে জন্যই অনেক বিনিয়োগ আসছে। তাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়