রুবেল মজুমদার: [২] কুমিল্লার মুরাদনগরে এক রাতেই তিন জনকে হত্যার চেষ্টায় ঘটনায় একজন নিহত হয়। নিহত মানসিক ভারসাম্যহীন নাছির মিয়া (৩৫) দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের আঃ আওয়ালের পুত্র। রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের ঘটনা ছাড়া অন্য দুটির বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি।
[৩] হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অপর দুই জন আহত হলেন, তিশা গাড়ী চালক জসিম উদ্দিন মুরাদনগর উপজেলার নগর পাড় গ্রামের মৃত খোরশেদ ড্রাইভারের ছেলে। অপরজন গকুলনগর গ্রামের জয়দল হোসেনর পুত্র সেন্টু মিয়া। আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে রাতের মধ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৪] নিহতের পিতা আঃ আউয়াল বলেন, আমার ছেলেকে বাখরনগর অনিক ব্রিকসের উত্তরে একটি সাটার বিহীন দোকান ঘরে হত্যা করা হয়েছে। আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করি।
[৫] আহত সেন্টু মিয়া বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি আসার সময় হক মিয়ার বাড়ির সামনে কাশেম ‘স’মিলের কাছে আসার পর একজন লোক হাত বাড়ায় আমি যাত্রী মনে করে গাড়ি থামানোর সাথে সাথেই গলায় ছুড়ি চালিয়ে দেয়। আমি হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করি ততক্ষনে হাতসহ গলার ভীতর ধারালো ছুড়ি ঢুকে যায়। তারপর সে ‘স’ মিলের দিকে চলে যায়।
[৬] অপর আহত জসিমের পরিবার সূত্রে জানাযায়, ‘স’ মিলের পশ্চিম পাশ নবীনগর রোড হয়ে বাড়ি আসার পথে পেছন থেকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে টান দেয়। এতে জসিমের গলা ও হাতের রগ কেটে যায়।
[৭] ১৪ নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের বলেন, আচমকা এমন ঘটনায় আমি বিষ্মিত। জসিম আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পর তার ছোট ভাই ওয়াসিম আমাকে খবর দেয়। তখন রাত প্রায় ১১ টার উপরে হবে। আমি জসিমকে রক্তাত্ব অবস্থায় আমার গাড়ি দিয়ে মুরাদনগর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা নিয়ে যাই। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
[৮] মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন পাগলকে হত্যা করার ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আর ও দুইজন ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।
আপনার মতামত লিখুন :