মাসুদ আলম : [২] সোমবার সিআইডির সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের শহরের বিপণীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুমের গলি থেকে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ বিভিন্ন দোকানে দই-মিষ্টি বিক্রি করে আসছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি রাজুর কাছে যান।
[৩] বিপণীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউলের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। তখন রাজুর কাছে দোকান পরিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে তিনি নৈশ প্রহরী ইসমাইলকে বলেন, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে তিনি দোকান পরিষ্কার করে পুরনো জামা-কাপড়সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজু ওই বস্তাটি বিপণীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরিফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশে গলির ভেতরে ফেলে দেন।
[৪] মুক্তধর বলেন, ওই বস্তা ফেলে রাজু আবারও দোকানে ফিরে আসেন। এরপর রাজু পানি দিয়ে ওই সেলুন পরিষ্কার করতে থাকেন। কিন্তু সেলুন থেকে লাশ পাওয়ার জায়গা পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়। পরে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে তিনি দোকান খুলে সেলুনের মেঝতে রক্তমাখা পানি দেখতে পান। এছাড়াও সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। ওই ঘটনার পর পালিয়ে যান রাজু চন্দ্র শীল। পরে সিলেট শহর থেকে অভিযুক্ত রাজুকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে সিআইডি।