লিহান লিমা: [২] অক্সফামের ডেটায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মহামারীর আঘাতের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গঠিত তহবিলে অর্থায়নের গতি আরো ধীর হয়ে যায়, এটি ২০১৮ সাল থেকে মাত্র ২ শতাংশ বেড়ে ৭৯.৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
[৩]নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নত দেশগুলো এক দশক আগে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। অথচ লক্ষ্যমাত্রার পাঁচ বছর পরও তা পূরণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
[৪]অক্সফামের গবেষণায় বলা হয়, এটি শুধু এই সপ্তাহে গ্লাসগোতে শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে জাতিসংঘের আলোচনাকেই হুমকিতে ফেলবে না সেই সঙ্গে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যমাত্রাকেও ঝুঁকিতে ফেলবে।
[৫]অক্সফামের বৈশ্বিক জলবায়ু নীতির প্রধান নাফকোট বলেন, ১২ বছর আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি ধনী দেশগুলোকে মানতে হবে।
[৬]উন্নয়নশীল দেশগুলো বলছে, নিঃসরণ হ্রাসের নিবিড় প্রতিশ্রুতি দিতে তাদের জন্য অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি কপ২৬ সম্মেলনকে সফল করতে চীন, ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে চললেও অর্থায়নের সংকট একটি বড় বাধা হতে পারে।
[৭]উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই অর্থ বিতরণের পদ্ধতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছ অক্সফাম। এই অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ঋণ আকারে দেয়ার কথা বলা হয়েছে যা কি না দেশগুলোকে আরো ঋণের মধ্যে ফেলবে।
[৮]অর্থায়নের ঘাটতির পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। কারণ সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য অর্থায়ন বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।