শিমুল মাহমুদ: [২] রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে ওই ২০ জনের জামিন আবেদনের শুনানি হয়। তাদের জামিন দেওয়ায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গণস্বাস্থ্যে প্রতিষ্টাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
[৩] জামিন পাওয়া ২০ জন হলেন- মো. ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, মো. নাইম, আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, সোহেল মৃধা, মোস্তাক আহমেদ, আজিম হোসেন, মো. রুহুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিশান, মো. সোহেল আহমদ, শেখ খায়রুল কবির, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, মো. হেমায়েত, ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম ও কাজী বাহাউদ্দীন মনির।
[৪] আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি তাপস পাল বলেন, জামিন হওয়ার পর জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যদের পক্ষে কথা বলেন।
[৫] জাফরুল্লাহ বলেন, ছাত্রদের অপরাধটা কী? পুলিশ মিথ্যা বলেছে, ছাত্রদের হাতে কোনো লাঠি ছিল না। একজন বিচারকের দায়িত্ব হচ্ছে, আমাদের কথা বলতে দেওয়া ও কথা শোনা। বিচারক আমার কথা শুনেছেন। ন্যায় কাজ করেছেন।
[৬] জামিন শুনানি শুরুর আগেই নুরকে সঙ্গে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুনানি শুরুর আগে তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বলেন, ছেলেরা দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কারাগারে আছে। আপনারা তাদের জামিন দেন। পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে তাদের। এসব ছাত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আপনারা এসব বিবেচনায় জামিন দিয়েন।
[৭] তখন তার এই বক্তব্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে তোলার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল। ছাত্র-যুব পরিষদের নেতাদের জামিন আবেদনের মূল শুনানি করেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
আপনার মতামত লিখুন :