শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:৪১ সকাল
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ মিলিয়নে

রাশিদ রিয়াজ : ২০১৫ সালের পর ব্রিটেনে এটাই সর্বনিম্ন ইউরোপিয় দেশের নাগরিক সংখ্যা। করোনাভাইরাসকালে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন ছেড়ে গেছে ইউরোপের ৭৯ হাজার নাগরিক। ২০১৫ সালে ইউরোপের নাগরিক সংখ্যা ব্রিটেনে দাঁড়িয়েছিল ৩.১ মিলিয়ন। ব্রিটেনে বাস করে কাজের সুযোগ খুঁজতে আবেদনের সময় সীমা পার করে দিয়েছেন ৬০ হাজার ইউরোপিও নাগরিক। এরফলে ব্রিটেনে অনেক পেশার লোকের অভাব ঘটছে। বিশেষ করে শ্রমিক সংকট শুরু হয়েছে ব্রিটেনের খামার ও শিল্পখাতে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, ওয়ারহাউস ও ফ্যাক্টরিতে সময়মত দক্ষ লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রিটেনের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস এসব তথ্য দিয়েছে। ডেইলি মেইল

ব্রিটেনের পরিসংখ্যান অফিস আরো বলছে আগামী বছরগুলোতে ব্রিটেনে ইউরোপের নাগরিক সংখ্যা আরো হ্রাস পাবে। এর ফলে ব্রিটেনে তিনটির মধ্যে একটি সেবা ও আতিথেয়তা ফার্মগুলো লোকবল সংকটে ভুগছে এরফরে ব্রিটেনের অর্থনীতি করোনাভাইরাসের পর কাঙ্খিত পর্যায়ে পুনরুদ্ধার কর্মসূচিতে পিছিয়ে পড়ছে। ১০টি বার, পাব কিংবা হোটেলের মধ্যে এধরনের তিনটি প্রতিষ্ঠান লোকবল সংকটে ভুগছে। অন্যান্য শিল্পখাতে লোকবল সংকটের চেয়ে আতিথেয়তা ফার্মগুলোতে এধরনের সংকট রয়েছে দ্বিগুণ। গত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ব্রিটেনে এধরনের লোকবলের অভাব ছিল ১০ লাখ ৩৪ হাজার। এর আগের ত্রৈমাসিকের চেয়ে এধরনের লোকবল সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫.২ শতাংশ বা ২ লাখ ৭০ হাজার। গত ৫ বছরে এধরনের লোকবল সংকট ২০১৭ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩.৭ মিলিয়ন। তারপর তা হ্রাস পায় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব হওয়ার আগেই।

দি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশনের পরিচালক জেয় লিনডপ বলেন, গত বছর ব্রিটেনে জন্ম না নেওয়া এবং ব্রিটিশ নয় এমন জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে স্থিতিশীল ছিল, ইইউ জাতীয়তা রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ব্রিটেনে ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে ঠিক কি পরিমান ইউরোপিয় নাগরিক ব্রিটেন ছেড়েছে তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও আদম শুমারি করে পরখ করে দেখতে আগামী বছর লেগে যাবে। ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিম ৫৮ হাজার মানুষকে ব্রিটেন থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদের গত ৩০ জুনের আগে ব্রিটেন ছাড়াবে কি না তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। তারা নিজেদের দেশেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়