নিপূ সৈয়দ নূরুলহৃদা: মূলত অস্ত্র বিক্রি ধান্দা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ‘এইউকেইউএস’ নামের এ চুক্তির অধীন অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিনের প্রযুক্তি সরবরাহ করবে ওই দুই দেশ। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্রান্স। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সাবমেরিন বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছিলো। ওই চুক্তির আর্থিক মূল্য ছিলো চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
এ প্রসঙ্গে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আচরণ করছেন। বাইডেন হুটহাট করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এর মাধ্যমে পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলাম। অস্ট্রেলিয়া সে বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে।’ : খবর এএফপি ও রয়টার্সের। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ‘জেসিন্ডা আরডার্ন’ বলেছেন, তার দেশের জলসীমায় পারমাণবিক শক্তিচালিত নৌযান চলাচলের ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা বহাল থাকবে।
এ কারণে প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া যে নতুন সাবমেরিন তৈরি করতে যাচ্ছে, তা দেশটির জলসীমায় ঢুকতে পারবে না। প্রায় দুই দশকের ঘনিষ্ট বন্ধু সৌদিকে মধ্যপাচ্যে নিপরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলে মার্কিনির চলে গেছে। এখন সৌদি ইরান ও ইয়েমেনের হুতিদের থেকে রক্ষা পেতে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি করার কথা ভাবছে। ঠিক এমনি একদিন আসবে ধান্দা শেষ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকেও একা ছেড়ে যাবে আমেরিকা। চীন এখন বিশ্বপরাশক্তি হওয়ার পথে। চীন পরাশক্তি হচ্ছে মূলত ব্যবসা দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে, একতা দিয়ে। রাষ্ট্রীয় পুঁজি দিয়ে। যে পুঁজিবাদের গর্বিত মাতাব্বর হলো আমেরিকা। চীন আমেরিকাকে পরাজিত করেছে তার দেখানো পুঁজিবাদী পদ্ধতিতে। চীনা জুজুর ভয় দেখিয়ে ভারত জাপানেও এখন আমেরিকার রমরমাঅস্ত্র বিক্রি হবে।
বাস্তবে মার্কিনিরা ছায়াযুদ্ধে একের পর এক হেরে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে হারা, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, ইরান ও হুতিদের হারাতে ব্যর্থ হওয়া, মধ্যপাচ্যে তপ্লিতল্পা গুটিয়ে ইরাক থেকে বিদায়, লিবিয়া থেকে বিদায়। এখন বাকী থাকলো দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, জাপান থেকে সৈন্য সরানো। ইস্যুর পর ইস্যু। যুদ্ধের পর যুদ্ধ। দেশ দখল লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংস। সমাজতন্ত্র ঠেকাও, রাশিয়া ঠেকাও, জঙ্গি ঠেকাও, সন্ত্রাসি ঠেকাও। এখন চীন ঠেকাও। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়, এমন একদিন আসবে সবাই মিলে যুদ্ধবাজ অস্ত্রবাজ খুনি আমেরিকাকে ঠেকিয়ে দেবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :