হারুন-অর-রশীদ: [২] অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার ফরিদপুরে ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পেলেও কমেনি দাম। প্রতারিত হচ্ছেন বহু ক্রেতা।
ফরিদপুরে কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ গুণ বেশি ইলিশ মাছ আমদানি হয়েছে। কিন্তু কিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হওয়ার কারণে কোনোভাবেই কমছে না দাম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।
[৪] গত সপ্তাহে বাজারে ৫০০ গ্রাম সাইজের এক কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে।
[৫] অন্যদিকে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশের প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে। পাশাপাশি এক কেজি অথবা দেড় কেজির একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে।
[৬] শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুর শহরের হাজী শরীয়তুল্লা বাজার গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে ইলিশের আমদানি প্রায় তিনগুণ। কিন্ত দামও বেশি আবার ক্রেতাও কম। প্রতারণাও অব্যাহত রয়েছে এমন অভিযোগ ক্রেতাদের।
[৭] হায়দার আলী নামের একজন মাছ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ক্রেতারা আসে বরিশালের মাছ কিনতে কিন্ত তারা কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। এ কারণে মানুষ বিরক্ত হয়ে মাছের কাছে যায় না। দেখা যায় বাজারে বহু ইলিশ কিন্ত ক্রেতা নাই।
[৮] ইলিশ মাছ কিনতে আসা শিবরামপুর এলাকার মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, গোপন সিন্ডিকেট থাকার কারণে ফরিদপুরবাসীর ভাগ্যে বরিশালের ইলিশ খুব একটা জুটে না। কারণ, বাজার ৫-৬ জনের সিন্ডিকেট চক্রটি বরিশালের ইলিশের বেশি দামে পেয়ে খুব গোপনে পশ্চিমাঞ্চালের জেলা অথবা রাজধানী ঢাকায় ফড়িয়াদের কাছে ডোপ ধরে বিক্রি করে দেয়।
[৯] শরীয়তুল্লা বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ লাবলু মিয়া বলেন, মানুষ নানানভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কেউ কেউ মাপে কম দিচ্ছে আবার কেউ বরিশালের ইলিশ বলে বেশি দাম নিয়ে ক্রেতাকে ঠকাচ্ছেন।
[১০] তিনি বলেন, মাছ ব্যবসায়ীরা চাঁদপুর ও চট্রগ্রামের নিম্নমানের অস্বাদের ইলিশ মাছই বরিশালের মাছ বলে বিক্রি করেছে ক্রেতাদের কাছে। ফরিদপুরবাসীর ভাগ্য বঞ্চিত করে যারা বরিশালে কালোবাজারি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[১১] এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :