ইমরুল শাহেদ: ছবির নাম ‘এ দেশ তোমার আমার’। অমি বনি কথাচিত্রের ব্যানারে ডিপজল প্রযোজিত এবং এফআই মানিক পরিচালিত এই ছবিটি নির্মিতির এক যুগ পর গত বৃহস্পতিবার আনকাট সেন্সর পেয়েছে। ছবিটি সেন্সরে দেখার পর অন্তত তিনজন সেন্সর সদস্য পরিচালককে ফোন করে ছবিটির প্রশংসা করেছেন।
এক যুগ আগে নির্মিত এই ছবিটি সেন্সর হতে হতে তিনজন শিল্পী-কুশলী প্রয়াত হয়েছেন। নায়িকা দিতি প্রয়াত হয়েছেন পাঁচ বছর আগে। ছবিটির রচয়িতা যোশফ শতাব্দী প্রয়াত হয়েছেন দিতিরও আগে। অভিনেতা মিজু আহমেদ উত্তরবঙ্গে একটি ছবির শুটিংয়ে যাওয়ার পথে ট্রেনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, ছবিটি সেন্সর পেতে এতোদিন সময় লাগলো কেন? পরিচালক এফআই মানিক বলেন, ‘এর একটা লম্বা কাহিনী আছে। ছবিটি আমি নির্মাণ করেছি ১/১১-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের তিন বছর পর। ছবিটিতে রাজনৈতিক কিছু উপাদান ছিল। প্রযোজক বরাবরই চেয়েছেন তার ছবিটি আনকাট পাস হবে। কিন্তু রাজনৈতিক উপাদানের কারণে তৎকালীন সময়ে সেন্সর বোর্ড ছবিটির অনেকগুলো কাটিং দেয়। আমি সংশোধন করে জমা দেই। তারপরও নানা জটিলতা তৈরি হয়। এতে প্রযোজকও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আরো অনেক ঘটনা আছে। সেগুলোতে নাই বা গেলাম। আজ এতো বছর পর ছবিটির বিষয়বস্তু সমসাময়িক মনে হচ্ছে তাতেই আমি আনন্দিত।’
ছবিটির প্রযোজক ও অভিনেতা ডিপজল বলেন, ‘সমাজ, পরিবার সর্বোপরি দেশের কল্যাণের দায়বোধ থেকে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, দর্শকদের বিনোদন দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে সচেতনতামূলক একটি ম্যাসেজ দিতে। সেন্সরবোর্ড সদস্যরা সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন। এতে আমাদের চেষ্টার বিষয়টি সফল হয়েছে। আশা করি, দর্শক একটি ভাল সিনেমা দেখতে পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি বরাবরই দর্শকের মনের মতো করে সিনেমা নির্মাণ করতে চাই। সিনেমায় একটি ভাল গল্প তুলে ধরতে চেষ্টা করি। আমার প্রত্যেকটি সিনেমায়ই মানুষের আবেগ-অনুভূতিকে ধারণ করে গল্প বলা হয়।’ ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, রোমানা, আন্নাসহ আরও অনেকে।