মোস্তাফিজুর রহমান : [২] রাত ৯টার পর হঠাৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বুকে ব্যথার কথা বলার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা কোন আলামত না পাওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়নি।
[৩] জানা যায়, সেখান থেকে মিডফোর্ড পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তব্যরত ডাক্তাররা। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে গুলশান থানায় নিয়ে আসা হয় তাকে।
[৪] বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার অলিন্দ্র বলেন, রিমান্ডে থাকা রাসেলের শুক্রবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে বুকে ব্যথা এবং চাপ অনুভব করার বিষয়টি গুলশান থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা চেকআপ করে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাসেলকে আবারও গুলশান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
[৫] শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গুলশান থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর ওহিদুল ইসলাম আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
[৬] উল্লেখ্য, আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার ভোরে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। পণ্যের জন্য আগাম অর্থ দিয়ে না পাওয়ার পাশাপাশি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ করা হয় সেখানে। মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পণ্যের ব্যাপারের ইভ্যালির অফিসে এবং পরে সিইও মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :