রাকিব রহমান: এরশাদ কাকু ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু ভালো কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বিকেএসপি’ তৈরি করা যার অন্যতম। খেলাধূলার সেই ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরেই আমাদের উপহার দিয়েছে সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার কিংবা মুশফিকুর রহিমের মতো বিচক্ষণ ব্যাটসম্যান। একজন সাকিব আল হাসানের জন্য কি গর্বে আপনার বুক ফুলে ওঠে না? না, সাকিব আল হাসান ভিন্ন কোনো গ্রহ থেকে আসেনি। বাংলাদেশের মাটিতেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। হ্যাঁ, সাকিব আল হাসানেরা বাংলাদেশে জন্ম নিতে পারে এবং নেয়। আমাদের কাজ হলো তাদের প্রতিভার বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া। আর বিকেএসপি তার সামর্থ্য মতো এই কাজটাই করে। আইনস্টাইন কিংবা হকিংয়ের মতো বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী কি বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে? অবশ্যই পারে যদি বিজ্ঞানচর্চাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়, যেভাবে ক্রিকেটকে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ যদি অশোক সেনের মতো ভয়ংকর প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর জন্ম দিতে পারে, বাংলাদেশ কেনো পারবে না? তারাও বাঙালি, আমরাও বাঙালি। জাতিগতভাবে আমরা এক, আর ধর্মের পার্থক্যটা মৌলিক কিছু না। বাংলাদেশে যে আইনস্টাইন এবং হকিংরা জন্ম নেয় তাদের বের করে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য দরকার শক্ত প্রাতিষ্ঠানিক একটা কাঠামো বিশ্বমানের কোনো বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার প্রতিষ্ঠান। আমরা সমমনা কয়েকজন মৌলিক বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চার জন্য সেরকম একটা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক কামরুল হাসান (Kamrul Hassan Mamun), অধ্যাপক আরশাদ মোমেন (Arshad Momen), অধ্যাপক মাহবুব মজুমদার (Mahbub Majumdar) আর অধ্যাপক তীব্র আলি (Tibra Ali) এর মতো ডাকসাইটে কিছু মানুষ এবং আরও অনেকে। আমরা সবাই যে একটি একক প্লাটফর্মে মিলিত হতে পেরেছি এটা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করি। আমাদের উদ্যোগে আপনাদের সবার একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি। বিশ্বসেরা নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের তালিকায় আজ থেকে দুই দশক পরে যদি বাংলাদেশের কয়েকটা নাম থাকে, তাহলে কি গর্বে আপনার বুকটা ফুলে উঠবে না? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :