রিয়াজ মাহমুদ: [২] পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। নির্মাণে ক্রটিসহ বর্ষা মৌসুমে পানি জমে খান খন্দ তৈরী হয়ে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
[৩] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক নির্মাণে ত্রুটি সড়কের পার্শ্বে ড্রেন না থাকা এবং পানি নিস্কাসনের কোনো রকম ব্যবস্থা নেই। ফলে, সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং করা এসব নির্মিত সড়ক নির্মাণের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এ সড়ক গুলোর মধ্যে পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়ক, লঞ্চ ষ্টেশন সড়ক, হাই স্কুল সড়ক, দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়ার নদীর পাড় সড়ক, সরকারি কলেজ সংলগ্ন সড়ক বিভিন্ন সড়ক।
[৪] লঞ্চঘাট এলাকা বাসিন্দার মো. আল আমিন আকন, দোকানী মিজানুর রহমান বাবু মিয়া রিপন হাওলাদার জানান, সড়কে পানি জমে থাকায় লঞ্চঘাটে যেতে যান বাহনে চড়ে সড়ক পাড় হতে হয়। লক্ষিপুরা মহল্লার সরকারি কলেজ সংলগ্ন এ সড়কটি প্রায় অর্ধযুগ ধরে ভাঙা এসড়ক থেকে স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
[৫] ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ছিদ্দিকুর রহমান পৌর সহায়তা কমিটির সদস্য শহিদুল আলম স্বপন সিকদার জানান, কলেজ এবং হাইস্কুল সংলগ্ন সড়কসহ কয়েকটি সড়ক সংস্কারের জন্য ড্রেনসহ আরসিসি ডালাই সড়ক নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমোদনের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে আসবে।
[৬] ব্যবাসাী রুহুল আমিন মুন্সি, সাংবাদিক শাহজাহান বলেন, এসড়কের এমনই অবস্থা এ সড়কে মাছ অথবা ধান চাষ করা যায়। অটোচালক রফিকুল ইসলাম মৃধা জানান, চলাচলের অনুপোযোগি হওয়ায় সহজে আমরা এসড়কে প্রবেশ করি না।
[৭] পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রাণী ধর জানান, বৃষ্টির কারণে ভাঙ্গা বেশী হয়েছে। এগুলো আমরা করব, পৌরসভার কাজে এগুলো ধরা আছে।
[৮] উল্লেখ্য, ২০১৯সনের শেষে দিকে জলবায়ু ট্রাষ্ট্রের অর্থায়নে শহরের টিএন্ডটি সড়কটি এলজিইডি স্থানীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মান করে। নির্মাণে ত্রুটি এবং ভারী যানবাহন চলাচল করায় এক বছরের মধ্যেই সড়কটির কার্পের্টিং উঠে গিয়ে খানা খন্দের সৃষ্টি হয় এবং চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। সম্পাদনা: হ্যাপি