আসিফ আকবর: কোন গান কালজয়ী হবে- এই বিষয়ে মন্তব্য করা মেয়াদোত্তীর্ণ সমালোচকের কাজ। কোন গান টিকে থাকবে, সেটা সময়ই বলে দেবে, আপনার কলা খাওয়া পিচ্ছিল মুখের মন্তব্য নিজেই যেন না ভুলে যান, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ভাইরাল শিল্পী ভেবে আসিফ নামের উপর ফ্ল্যুইড মেরে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছে বারবার, এ প্রক্রিয়া ফলপ্রসু করতে গিয়ে কিছু ছাগল মিডিয়া সন্যাসী হয়ে গেছে। এসব কাজ যারা করেছেন তাদের দেখা আর পাওয়া যায় না, বরং নিজেই খুঁজে খুঁজে তাদের পাশে থাকি। লেকচার মারতে গেলেও যোগ্যতা লাগে, নলেজ থাকতে হয়। বর্তমানে টিভি টক শো কাঁপানো জনকণ্ঠের সাবেক সাংবাদিক ভাই তখন পত্রিকাটির কন্ট্রিবিউটর। তাঁর ওপর দায়িত্ব বর্তেছে আমার ইন্টারভিউ নেবার।
প্রথম প্রশ্নটি ছিলো- আচ্ছা আপনার গান তো একই টাইপের, এটার কারণ কী? কাউন্টার প্রশ্নে আমার গাওয়া দশটি গানের তালিকা জানতে চাইলাম। সে শুধু ও প্রিয়ার কথা বলে ম্যা ম্যা শুরু করেছে, তারমানে স্টাডি না করেই ইন্টারভিউ করতে বসেছে। তৎকালীন বিনোদন সম্পাদককে বললাম, ভাই, আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য ভবিষ্যতে কাউকে অ্যাসাইন করলে একটু স্টাডি করে নিতে বলবেন। এ ধরনের গৎবাঁধা প্রশ্ন আমি অ্যালাউ করি না। বিনোদন সাংবাদিকতা আর পেইড কমিটেড রিপোর্টিং আলাদা। আমার একুশ বছরের ক্যারিয়ারে কোনো সাংবাদিক ভাই-বন্ধুকে বলিনি আমাকে নিয়ে লেখেন। তবে অন্য কারো জন্য বহু রিকোয়েস্ট করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। টিভি, পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে এখন আর কথা বলতে ইচ্ছা করে না, বলিও না।
তারা এক পায়ের পাজামা আরেক পায়ে ঢুকাই দেয়, কোমরবন্ধনী ঘুরে পিছের দিকে চলে যায়। বিনোদন সাংবাদিকতা এজেন্ডামুক্ত হোক, আসল বাস্তবতা সামনে আসুক। আপাতত এতোটুকুই লিখলাম। একমাস দেখবো, তারপর বিনোদন সাংবাদিকতার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেওয়া শুরু করবো। সিন্ডিকেট রিপোর্টিংয়ের অশুভ অচলায়তন একেবারে ভাঙতে না পারলেও শান্তিতে থাকতে দেবো না কমজানা অযোগ্যদের। তারা দিনে দিনে অসহ্য ইবলিশে পরিণত হয়েছে। দেশের শিল্প, সংস্কৃতি এসব কন্টেন্টলোভী অসুস্থ নাদানদের হাতে জিম্মি থাকতে পারে না। ভালোবাসা অবিরাম। লেখক : সংগীতশিল্পী। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :