নওগাঁ প্রতিনিধি: [২] দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গ্রাম্য কবিরাজি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন আব্দুল মাজেদ। কবিরাজ জীবনে উপার্জিত আয়ের একটি অংশ তার শোবার ঘরে বাক্সে জমা করতেন। যেখানে প্রায় কোটি টাকার মতো জমা হয়েছে। সম্প্রতি তার জমানো সেই টাকা দূর্বত্তরা চুরি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কবিরাজ আব্দুল মাজেদ।
[৩] তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের সাহাপুর জংলিপাড়া গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে। আব্দুল মাজেদ টাকা হারানোর শোকে বিলাপ করছেন আর বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।
[৪] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল মাজেদ একজন গ্রাম্য কবিরাজ। তিনি সাংসারিক দ্বন্দ, স্বামী-স্ত্রী মনোমানিল্য, ঝাঁজ-ফুঁ, তাবিজ ও পানি পড়া চিকিৎসা দিতেন। তার বেশির ভাগ রোগী ছিল দরিদ্র বা অতি-দরিদ্র শ্রেণির। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসত। অনেকে সুস্থ না হয়ে আবারও আসত। আর এভাবেই চলত তার প্রতারণা। এলাকাবাসীরাও তার অপচিকিৎসার ব্যাপারে অতিষ্ট। অপচিকিৎসা ও প্রতারণার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও হয়েছে বলে জানা গেছে।
[৫] আব্দুল মাজেদ দুদিন আগে স্ত্রীকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়েছিলেন। বাড়িতে আব্দুল মাজেদ এর বৃদ্ধা মা ও ছেলে শাফি ছিল। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে তিনি বাড়ি এসে দেখেন বাক্সটি তছনছ হয়ে আছে। তার টাকা হারানোর বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা তৈরী হয়েছে।
[৬] কবিরাজ আব্দুল মাজেদ বলেন, গত ৩৫ বছর কবিরাজি করে উপার্জিত টাকার একটি অংশ শোবার ঘরে কাঠের বাক্সে জমা করতেন। যেখানে প্রায় ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মতো জমা হয়েছিল। গত সপ্তাহেও টাকা দেখেছি। লেখাপড়া না জানায় টাকাগুলো ব্যাংকে জমা রাখিনি। বাড়িতে কেউ না থাকায় সোমবার রাতে টাকাগুলো চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
[৭] মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী বলেন, সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সপ্তাহখানেক আগেও তার ওই বাক্সে টাকা দেখেছে। তবে কখন কিভাবে টাকা হারিয়েছে তা সঠিক বলতে পারছেন না। তার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
[৮] তিনি বলেন, তার বাড়িও নিরাপত্তা বিশিষ্ট। বাক্সটি তার ঘরেই ছিল। যেখানে কোন ধরনের ভাঙাচুরা দেখা যায়নি। বিষয়টি দেখে সন্দেহ মনে হচ্ছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ইতোপূর্বে এলাকাবাসী তার ভয়া চিকিৎসা প্রতারণা বিরুদ্ধে দুইটি অভিযোগও করেছে। যা তদন্ত হয়েছে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :