আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রথম এ বিষয়ে কংগ্রেস সদস্যদের মুখোমুখি হন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিকে ব্লিনকেন বলেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের নানামুখী স্বার্থ রয়েছে, সেগুলোর কিছু বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এপি
[৩] ওই বিষয়গুলো তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা হলো আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে পাকিস্তানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, আরেকটি হলো তালিবান সদস্যদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং আরো একটি বিষয় হচ্ছে সন্ত্রাস দমন নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পৃক্ততা। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের সময় হয়েছে কিনা, সে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করেছিলেন কংগ্রেস সদস্যরা। জবাবে ব্লিনকেন বলেন, শিগগিরই তা করা হবে।
[৪] তিনি বলেন, ‘সামনের দিন ও সপ্তাহগুলোতে আমরা যেসব বিষয় দেখতে চলেছি তার একটি এটা। ২০ বছর ধরে পাকিস্তান যে ভূমিকা পালন করেছে শুধু সেটাই নয়, আগামী বছরগুলোতে আমরা তাদের যে ভূমিকা চাই এবং তার জন্য তারা কী করবে, সেসব বিষয় বিবেচনা করা হবে’।
[৫] আন্তর্জাতিক মহলের দাবি পূরণ ছাড়া তালিবান সরকারকে বৈধতা না দিতেও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তালিবানের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, যেসব ব্যক্তি আফগানিস্তান ছাড়তে চান, তাদের নিরাপদে বের আসা নিশ্চিত করা এবং নারী, মেয়ে শিশু ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা। এছাড়া আফগানিস্তান যেনো আবার সন্ত্রাসীদের স্বর্গ রাজ্য না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :