সুজন কৈরী: [২] পুরনো কিছু মালামাল বিক্রির নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মোহসীন হাওলাদার (৫৩), নেজাম উদ্দিন (৪০), লিয়াকত আলী (৬২) ও গোলাম মোস্তফা (৪৭)।
[৩] সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পিবিআই’র এসআইএন্ডও (অর্গানাইজড ক্রাইম-দক্ষিণ)।
[৪] বুধবার পিবিআই’র এসআইএন্ডও’র (অর্গানাইজড ক্রাইম-দক্ষিণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার জাহান বলেন, গ্রেপ্তার ৪জনসহ প্রতারক চক্রটির সঙ্গে জড়িত পলাতক শামীম ওরফে উত্তম ওরফে উদয় দাস ও সুজন এবং সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন প্রতারণার জন্য একজন ব্যবসায়ীকে র্টাগেট করে। ওই ব্যবসায়ীর কাছে পুরনো কিছু মালামাল বিক্রির মাধ্যমে বিশ^স্ততা অর্জন করে। পরে প্রায় ৪৮ লাখ টাকার মূল্যের ১১৭ টন মালামাল (সিট পাইলিং) হাজী জসিম উদ্দিন নামের কিশোরগঞ্জের ওই ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেয় চক্রটি।
[৫] গত ১২ আগস্ট ভিকটিমকে কিশোরগঞ্জ থেকে ডেকে ঢাকায় এনে আফতাবনগরের ভেতরে খোলা জায়গায় থাকা অন্যের মালামাল (সিট পাইলিং) নিজের বলে দেখিয়ে তা কিনতে বায়না দিতে বলেন চক্রের সদস্যরা। প্রতারক চক্রটি ভিকটিমের কাছে বায়না বাবদ অগ্রীম ২০ লাখ টাকা দাবি করে। সাথে ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় ওই দিনই ভুক্তভোগী উত্তরা ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন এবং তার নিজের কাছে থাকা ১ লাখসহ মোট ১৬ লাখ টাকা প্রগতি স্মরণীতে অবস্থিত প্রতারক চক্রটির কথিত অফিস জিএইচবি সোর্সিং লিমিটেডে বসে ভুক্তভোগীর মামা আব্দুস সামাদের উপস্থিতে চক্রের দলনেতা মের্সাস শামীম ট্রের্ডাসের কথিত মালিক শামীমকে দেন।
[৬] অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান বলেন, প্রতারকরা টাকা বুঝে পেয়ে তাদের ভুয়া অফিসিয়াল প্যাডে প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি রশিদ দেন এবং পরদিন ট্রাক নিয়ে গিয়ে মালামাল বুঝে নিতে বলেন। ফেরার পথে ভিকটিম তার বায়নাকৃত মালামাল দেখতে আবারও আফতাবনগরে গেলে সেখানে অবস্থানরত মেসার্স তাজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক জানান, ওই মালামাল মের্সাস শামীম ট্রের্ডাসের নয়, এটি তার নিজের। তখন ভিকটিম প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে ফোন দিলে বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
এরপর ভুক্তভোগী দ্রুত প্রতারক চক্রের কথিত ঠিকানার অফিসে গেলে তাদের কাউকেই পাননি এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ পান। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভুয়া মালামাল বিক্রির নামে তার কাছে থেকে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পরে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পিবিআই’র কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। এরপর অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনা ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।