আমিরুল ইসলাম : [২] শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রমের নতুন কাঠামো কতোটুকু কার্যকর হবে, সব সিদ্ধান্তই কি সরকার একাই নেবে, কারও সঙ্গে কি কথা বলেছে? কিংবা বলবে? কারও পরামর্শ নেবে? এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে পরামর্শ কমিটি গঠন করার চিন্তাভাবনা করতে পারে সরকার, তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জাতীয় শিক্ষাক্রমের নতুন কাঠামো নিয়ে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।
[৩] শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ না বাড়ালে নতুন কাঠামো কার্যকর করা যাবে না।
[৪] আধুনিক বিশে^র স্কুল-কলেজ লেভেলের পড়ালেখায় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই জাতীয় শিক্ষাক্রমের নতুন কাঠামো করা হয়েছে।
[৫] পাবলিক পরীক্ষাগুলো না হলেও সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষা, কন্টিনিউওয়াস এসেসমেন্টেরর ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী শ্রেণীতে ওঠানো হবে। পুরো জাতি পরীক্ষার জন্য আকাক্সিক্ষত ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণে মূল্যায়ন শব্দটি গুরুত্ব পাচ্ছে না।
[৬] নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী যে ক্লাসে পড়েই ড্রপআউট হোক না কেন, সে সেই ক্লাসের বার্ষিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে একটি সার্টিফিকেট পাবে।
[৭] ভারতে দুই বছর আগেই এই পদ্ধতি চালু হয়ে গেছে। নতুন কাঠামো কার্যকর করতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। এই শিক্ষা কাঠামোতে বেশি শিক্ষকের প্রয়োজন হবে। শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
[৮] বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়েও এরকম শিক্ষা কাঠামা চালু করা উচিত। কারণ বিশ^বিদ্যালয়েও একেবারে মাস্টার্স পর্যন্ত অনেকেই পড়াশোনা করে না। পড়াশোনা প্রথমবর্ষ পর্যন্ত হলে এক বছরের সনদ, দ্বিতীয়বর্ষ পর্যন্ত ডিপ্লোমা, তৃতীয়বর্ষ ডিগ্রি বা পাসকোর্স, চার বছর শেষ করা হলে অনার্স সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। মাস্টার্স কারও জন্য বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজন নেই।
আপনার মতামত লিখুন :