খালিদ আহমেদ : [২] মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
[৩] তারা বলেন, সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষা ও অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত সাংবাদিক সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং এর নির্বাচিত নেতাদের হেয় করার মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
[৪] নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি সংগঠনের ১১ জনের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। ঢাকাসহ সারাদেশের কয়েক হাজার পেশাদার সাংবাদিকের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। বিশেষত বহুসংখ্যক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ, দীর্ঘ সময়ের বেকারত্ব, চাকরিচ্যুতি, মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বকেয়ার মত বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে টিকে থাকার সংগ্রাম করছেন কর্মরত সাংবাদিকেরা।
[৫] কোনো বিশেষ নেতার বা সাংবাদিকের ব্যাংক হিসেবে অস্বাভাবিক লেনদেন বা অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে সংগঠনের শীর্ষ পদে নির্বাচিতদের আর্থিক লেনদেন তলব সাংবাদিক সংগঠন ও এর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং হেয় করার দুরভিসন্ধি কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক ছাড়াও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের হিসাব বিবরণীও একই সঙ্গে তলব করা হলে, দেশে হাজারো কোটি টাকা লুটপাটের যেসব চাঞ্চল্যকর খবর প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে আসছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিলেই কেবল এ ধরনের পদক্ষেপের যৌক্তিকতা মিলতো।
[৬] বিএফইউজে ও ডিইউজে নির্বাহী পরিষদ মনে করে, দেশে এমনিতে গণমাধ্যম চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। স্বাধীন ও সাহসী সাংবাদিকতার পরিবেশ বিপন্ন। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে ঢালাওভাবে সাংবাদিক সংগঠন ও নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মধ্যে নতুন করে চাপ ও আতঙ্ক সৃষ্টি ছাড়াও জনমনে ভুল বার্তা দেবে।
[৭] অবিলম্বে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তৎপরতা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছে দুই নির্বাহী পরিষদ। বিএফইউজে’র দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ
আপনার মতামত লিখুন :