আমিরুল ইসলাম : [২] ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেড় বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা উচিত। করোনায় শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পুরোপুরি পুষিয়ে ওঠা যাবে না। তবে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।
[৩] বিকল্প পাঠদান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেরাই ঠিক করবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একভাবে পারবে না। কারণ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল। অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়তো অনেকের পক্ষে সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীদেরও পড়ালেখায় অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে।
[৪] নতুন করে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এমনকি বিদেশ থেকে প্রশিক্ষক এনেও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
[৫] শিক্ষাবিদ মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষাবর্ষ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো প্রয়োজন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বরে শেষ না করে আরও দুই মাস বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত লেখাপড়ার যতোটুকু সম্ভব শেষ করে তারপর পরীক্ষা নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত দুই মাস বাড়ানো হলে পরবর্তী বছরে ১০ মাসে শিক্ষাবর্ষ শেষ করতে কোনো সমস্যা হবে না।
[৬] পরের বছর অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ঘাটতি আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাক্রমকে ঢেলে সাজানো দরকার।
[৭] শিক্ষার্থীদের সহপাঠ কর্মসূচি বাড়িয়ে দিতে হবে, যাতে করে তারা আনন্দ পায়।
আপনার মতামত লিখুন :