শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:১৬ সকাল
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সন্তান বিক্রির ৫ লাখ টাকায় দুই মাসও আরাম-আয়েশ করতে পারলেন না শামীমা

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরের শ্রীপুরে স্বামীর অগোচরে ছয় মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে পাঁচ লাখ টাকায় বেচে দিয়েছিলেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। সেই টাকায় বেশিদিন আরাম-আয়েশ করতে পারেননি। স্ত্রী-সন্তানের হদিস না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম। আদালতের আদেশে পুলিশ তৎপর হয়ে দুই মাস পর উদ্ধার করেছে শিশুটিকে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মা শামীমা ও শিশুটির ক্রেতা নুরুজ্জামানকে। ডেইলি বাংলাদেশ

সোমবার দুপুরে আদালতে মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাবার কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রেতফারকৃত শামীমা বগুড়া সদর উপজেলার শাহীন মিয়ার মেয়ে ও নুরুজ্জামান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামের বাসিন্দা। শিশুটির বাবা জাহিদুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কর্নপুরের বাসিন্দা।

জাহিদুল জানান, দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১৯ সালে শামীমাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই বসবাস করছিলেন শ্রীপুরের কর্নপুরের বাড়িতে। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের ঘরে আসে কন্যা সন্তান। সন্তানের ছয় মাস বয়সে চাকরির জন্য নরসিংদীতে চলে যান জাহিদুল। ১২ জুন শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান শামীমা। এরপর মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকেন তিনি। খবর পেয়ে সন্তান ও স্ত্রীকে খুঁজতে থাকেন জাহিদুল। দুই মাসেও তাদের সন্ধান না পেয়ে তিনি গাজীপুর আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত শ্রীপুর থানাকে মামলা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।

জাহিদুলের অভিযোগ, তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার অনুপস্থিতিতে সম্পর্ক ভাঙতেই তারা শিশুটিকে বিক্রির পরামর্শ দেয় শামীমাকে। তাদের কথা মতোই পাঁচ লাখ টাকায় কন্যা শিশুটিকে নুরুজ্জামানের কাছে বেচে দেন শামীমা।

শ্রীপুর থানার এসআই অংকুর কুমার ভট্টাচার্য বলেন, শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে ১০ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও তদন্তের পর রোববার রাতে নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা ও নুরুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়