শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:২৪ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:২৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাটের আশানুরূপ ফলন, কৃষকের মনে খুশি

তৌহিদুর রহমান: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের পাশাপাশি বাজার দর নিয়েও খুশি কৃষক। কৃষকরা জানিয়েছে, এবারের মত প্রতিবছর বাজার দর অনুকূলে থাকলে আবারো সুদিন ফিরবে পাট চাষীদের। জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাট চাষ উৎসাহিত করার জন্য উন্নত জাতের পাট বীজ উৎপাদন সহ বিশেষ কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।

[৩] কৃষি অফিস ও সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার মেঘনা-তিতাস অববাহিকার বিস্তীর্ন ভূমি পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এক সময় এ জেলার প্রচুর পরিমাণ পাট উৎপাদিত হতো। জেলায় এবার ৩হাজার ৮৪০হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রয়েছে দেশী, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতীয় পাট। জেলায় এ বছর ৩৮ হাজার বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে।

[৪] পাট চাষী মিলন মিয়া বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পাটের ফলন ভাল হয়েছে। করোনার মধ্যেও ভাল বাজার মূল্য পেয়ে আমাদের পাট চাষীরা খুশি। প্রতি মন পাট তারা ২৭শ থেকে ২৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কানি জমিতে খরচ হয়েছে ৮/১০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে কানি প্রতি তাদের লাভ হয়েছে ১০/১২ হাজার টাকা। এছাড়াও পাট থেকে পাওয়া প্রতি কুড়ি পাট খড়ি (শোলা) ৩শ টাকায় বিক্রী হচ্ছে।

[৫] আরেক চাষী সামসু মন্ডল বলেন, আমাদের এখানে উৎপাদিত পাটের মর্ধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলন হয় তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতীয় পাট। সবকটি উপজেলায় পাটের আবাদ হয়। তবে তুলনামূলক ভাবে নাসিরনগরে পাটের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশী। এবার পাটের ন্যার্য মূল্য পেয়ে চাষীরা বেশ আনন্দে আছেন।

[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. রবিউল হক মজুমদার বলেন, জেলার ভূ-প্রকৃতি ও আবহাওয়া পাট চাষ সম্প্রসারণ করা সম্ভব। এজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। সেজন্য তুষা পাটের ২২টি প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে যেখান থেকে কৃষকরা তুষ পাট উৎপাদনে কারিগরি প্রযুক্তি নতুন জাতের ফলন বিষয়ে কুষকরা জানতে পারবে। বিশেষ কর্মসূচীর মাধ্যমে উন্নত জাতের বীজ প্রাপ্তিতে নাভি পাট বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়