শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:২৮ দুপুর
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়েছেন প্রতারক চক্র, আটক ২

সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে চাকরি প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। আটকরা হলেন- নাজির হোসেন এবং কামরুজ্জামান।

[৩] সোমবার র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসাধারণকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করছিলেন। এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

[৩] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের কাছ থেকে র‌্যাব জানতে পেরেছে, আটকরা পরস্পর বন্ধু। নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত। তিনি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিশ^স্ততা অর্জনের পর কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন নাজির। পরিচিত হওয়ার পর ভুক্তভোগীকে কামরুজ্জামান আশ^স্থ করতেন যে, তিনি ইতোপূর্বে অনেক লোককে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছেন। তবে চাকরি পেতে হলে সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে থাকা কর্মকর্তাদের ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রথমে তিনি একটি চুক্তিনামা করে ৫ লাখ টাকা আদায় করেন।

[৪] এরপর ভুক্তভোগী প্রার্থীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করতেন। এরপর প্রার্থীকে জানানো হতো, একটি পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে ভুক্তভোগীকে। তবে নিয়োগ পত্র পেতে হলে আরও ২ লাখ টাকা দিতে হবে। এভাবে তিনি ধাপে ধাপে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন।

[৫] এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন। এভাবে চক্রটি বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়