শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:২৮ রাত
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শারফিন শাহ: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখনো লেখালেখিতে সেভাবে হাত দেননি

শারফিন শাহ: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখনো লেখালেখিতে সেভাবে হাত দেননি। স্নাতক শেষ করে স্কুলের মাস্টারি করছেন অজপাড়া গাঁয়ে। এক বালক গাদা গাদা বই হাতে নিয়ে প্রতিদিন তার বাড়ির সামনে দিয়ে যেতো। তিনি ওই বালককে দেখে অবাক হতেন। একদিন ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, এই বালক তোমার হাতের বইটা কি দিতে পার আমাকে? বালক চোখ বাঁকিয়ে বললো- আমি শুধু বালক নই, লোকে আমাকে বালক কবি বলে ডাকে! আপনাকে বইটা দিতে পারবো না। কারণ এটা লাইব্রেরির বই। বিভূতিভূষণ আরও অবাক হলেন। এমন বালক আবার কবিতা লেখে। তিনি একচোখ বিস্ময় নিয়ে বালকের দিকে তাকিয়ে রইলেন। এই বালক কিছুদিন পর একটা অবাক কাণ্ড করে বসলো। স্কুলের নোটিশবোর্ডে একটা কাগজ সাঁটিয়ে দিলো। তাতে লেখা আসছে স্কুলের নতুন শিক্ষক বিভূতিভূষণের বই। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরা সানন্দে বিভূতিভূষণের কাছে এসে বলতে লাগলেন, আরে মশাই, আপনি লেখক তা তো জানতাম না। বিভূতিভূষণ পড়লেন মহা বিপদে। কারণ তিনি তো তখনো কোনো বই দূরে থাক একটা গল্পও লেখেননি। কে এরকম একটা নোটিশ হুট করে সাঁটাল? খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন, ওই বালক কবি। তিনি বালক কবিকে ধমকে দিয়ে বললেন, লেখালেখি কি এতোই সহজ যে তুমি এমন একটা বিজ্ঞাপন নোটিশবোর্ডে দিয়ে দিলে। এখন আমি কী করবো? আমি তো লিখতে পারি না। বালক কবি বললো, আরে আপনি তো উচ্চশিক্ষিত মানুষ, একটু চেষ্টা করলেই পারবেন।

বিভূতিভূষণ পেরেছেন। ওই বালক কবির অনুপ্রেরণাতেই তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে লিখেছিলেন একটি গল্প ও পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস পথের পাঁচালি। তারপর তো তিনি এক ইতিহাস। বিভূতিভূষণ বাংলা সাহিত্যে অনেককিছুই প্রথমবার তুলে এনেছেন। এর মধ্যে হচ্ছে প্রকৃতিনির্ভর গ্রামীণ জীবন। পথের পাঁচালি, আরণ্যক শুধু নয়, আরও অনেক রচনাতেই এসেছে প্রকৃতি। আত্মস্মৃতি ‘হে অরণ্য কথা কও’, ‘তৃণাঙ্কুর’ পড়লে বুঝা যায় তিনি প্রকৃতিকে কতোটা গভীরভাবে দেখেছেন। তিনিই প্রথম বাংলা সাহিত্যে শিক্ষকদের জীবনযাত্রা নিয়ে লিখেছেন ‘অনুবর্তন’ নামক উপন্যাস। এর আগে বিশ্বসাহিত্যে ‘গুড বাই মিস্টার চিপস’ নামে এরকম একটিমাত্র উপন্যাস রচিত হয়েছিলো। বিভূতিভূষণকে সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্রে রূপ দিয়ে বিশ্বমহলে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার উপন্যাসগুলো সবই বিশ্বমানের। অনূদিত হলে আসতে পারতো নোবেল। সেটা সম্ভব না হলেও বিভূতিভূষণ আজও পঠিত ও নন্দিত। ১২ সেপ্টেম্বর ছিলো এই মহান লেখকের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন প্রকৃতির মতো মানুষ! লেখক ও গবেষখ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়