[১] আল-আমিন লেবুকে নিয়ে সহপাঠীদের বর্ণিল স্মৃতিচারণ!
অপূর্ব চৌধুরী: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আল-আমিন লেবুর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন ও সহপাঠীদের মাঝে।২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সদা হাস্যোজ্জ্বল আল-আমিন লেবুর হঠাৎ মৃত্যুটি এখনো মেনে নিতে পারছেন না কেউ।
[৩] লেবুর সাথে কাটানো বিভিন্ন সময়,বিশেষ মুহুর্ত, তার প্রতিভা,বিভিন্ন পরোপকারী উদ্যোগ,তার সাথে শেষ বারের মতো দেখা ও কথা না বলতে পারা ও অল্প সময়েই তাকে হারানোর আক্ষেপ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্ষণই স্মৃতিচারণ করছেন সহপাঠীরা।
[৪] সহপাঠীদের দাবি সারাজীবন লেবু মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।কখনো রক্ত দানের মাধ্যমে আবার কখনো অসুস্থ কারো জন্য আর্থিক সহায়তা জোগাড় করে পাশে দাঁড়িয়েছেন।কিন্তু অনটনের ফলে নিজের চিকিৎসারই সুযোগ হয়নি তার।
[৫] মোহাম্মদ সুমন ভূঁইয়া নামের এক সহপাঠী ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমার বন্ধু বাংলা বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল-আমিন লেবুর উল্লাসে ভরা মুখটি আর দেখা হবেনা! তার সুললিত কন্ঠের গান আর শোনা হবেনা! কেমন আছিস মামা? এভাবে প্রশ্ন করে সে আর জানতে চাইবেনা আমার অবস্থা! আমার তো বিশ্বাস হয়না।
[৬] মাহমুদুল হাসান নামের একজন পোস্টে লিখেছেন, খুব কষ্ট হচ্ছে রে আল-আমিন লেবু। এভাবে নাকি কাছের মানুষ একেবারে চলে যায়।শেষ বার একটু কথাও বলতে পারলাম না।ওপারে গিয়ে যদি মাফ করা যায় ত করে দিও।এত কাছে থেকেও কিছু বুঝলাম না।
[৭] ইয়াসির আরাফাত তার পোস্টে লিখেছেন,ভাবতেই পারছিনা এত তাড়াতাড়ি তুমি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যাবে।হাসি মাখা মুখটা আর দেখা হবেনা।ওপারে ভালো থেকো।
[৮] মিজানুর রহমান লিখেছেন, আল-আমিন-লেবু খুব কাছের ছিলো।যখনই মনে পড়ে আমার বিশ্বাস হয়না আমাদের মাঝে নেই আপনি।এইত সেদিনও কথা হল।
[৯] হৃদয় পার্থ লিখেছেন, গত সপ্তাহে একসাথে আড্ডা দিলাম। সেদিনও লেবুর অসুস্থতার স্ট্যাটাস দেখে নক করলাম।জ্বর ছিল।বললো বিকেলে ডক্টরের কাছে যাবে।আর চিকিৎসার প্রয়োজন হবেনা।
[১০] গত ১০ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক আইডিতে 'জ্বর ১০৪ ডিগ্রি, ঠান্ডা, কাশি। সবার দোয়া কামনা করছি।' লিখে পোস্ট দেন আল-আমিন। এরপর রাতে অবস্থা খারাপ হলে রুমমেটরা পাশে ডা. আজমল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :