শিরোনাম

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:২৮ সকাল
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৭:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন :দেশ উন্নয়নের প্রথম ধাপ প্রযুক্তি নয়, বিজ্ঞান

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন : কজন পদার্থবিদ সহকর্মী বন্ধুরা মিলে একটি বিশ^মানের ইনস্টিটিউট ফর ফান্ডামেন্টাল সায়েন্স প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবছি বেশ কিছুদিন যাবৎ। কারণ আমরা মনে করি একটি দেশকে উন্নত করতে পারে কেবল উন্নত মননের মানুষ। তাই উন্নত দেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো সে মননের মানুষ তৈরির কারখানা নির্মাণ করা। একইসঙ্গে বুঝতে হবে যে দেশ উন্নয়নের প্রথম ধাপ প্রযুক্তি নয় বরং বিজ্ঞান। কারণ প্রযুক্তির রসদ আসে তত্বীয় বিজ্ঞান থেকে। তত্ত্বীয় বিজ্ঞানহীন প্রযুক্তি কেবল টেকনিশান বানাতে পারে। তত্ত্বীয় বিজ্ঞান বলা যায় মস্তিষ্কের জিমনাসিয়াম। তত্ত্বীয় বিজ্ঞান করতে খরচ কম লাভ বেশি।
তাই একটা স্বাধীন বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট করতে হলে বিশ্বমানের বেতন এবং পরিবেশ দিতে হবে। ব্যতিক্রমী উন্নত মানুষ আনতে হলে ব্যতিক্রমী সুযোগ-সুবিধা বেতন দিতে হবে। বর্তমান কাঠামোতে বাংলাদেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো ইনস্টিটিউট করলে সে উন্নত বেতন আর উন্নত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব না। তাই স্বনামধন্য কোনো বিদেশি ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন ইনস্টিটিউট করতে হবে। যে ইনস্টিটিউটটিতে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের থাকা খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা এবং থাকবে মনোরম পরিবেশ। এরকম একটি ইনস্টিটিউট করতে হলে অনেক টাকার দরকার।

দেশের ১৮ কোটি মানুষ যদি ১০ টাকা করে দান করে তাহলেই তো ১৮০ কোটি টাকা হয়ে যায় যা দিয়ে কাক্সিক্ষত ইনস্টিটিউট তৈরির প্রাথমিক কাজ করে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে সেখান থেকে অর্জিত লাভ দিয়ে আনুসাঙ্গিক খরচ মেটানো যাবে। যদিও আমরা মনে করি এর চেয়েও বেশি ডোনেশন পাওয়া সম্ভব। অনেকেই অনেক বড় বড় দানও করতে পারেন। বিদেশে আমাদের অনেক বাঙালি আছেন যারা দেশের জন্য কিছু করতে চান তারাও এ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এরকম কিছু একটা করা আপাত অসম্ভব মনে হলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আমাদের এ অসম্ভবকেই সম্ভব করতে হবে। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়