সাকিবুল আলম: [২] তালিবান জানিয়েছে, হাক্কানি নেটওয়ার্ককে এখনো সন্ত্রাসীদের তালিকায় রাখা দোহা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। গোষ্ঠীটি আরো জানিয়েছে, দোহা চুক্তি অনুযায়ী হাক্কানি পরিবারকে অমূলকভাবে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ইয়ন, নিউজ ১৮
[৩] কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে এ সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে তালিবান। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করছে বলেও দোষারোপ করেছে তারা।
[৪] সদ্যগঠিত তালিবান সরকারে সিরাজুদ্দীন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং খলিল হাক্কানিকে শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরা দুজনই এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছেন।
[৫] হাক্কানি গ্রুপ নামের এ সন্ত্রাসী সংগঠনটি গঠন করেছিলেন জালালুদ্দীন হাক্কানি। আশির দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় এ সংগঠনটি গঠন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে এটি ওসামা বিন লাদেনের আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।
[৬] জালালুদ্দীন হাক্কানির মৃত্যুর পর ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সন্ত্রাসী সংগঠনটির প্রধানের দায়িত্ব নেন তার ছেলে সিরাজউদ্দীন হাক্কানি। এ সংগঠনটি দেশজুড়ে বেশ কিছু সহিংস আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলো।