রাশিদুল ইসলাম : [২] আফগানিস্তানের কুন্দুজে নারীরা মিছিল ও সমাবেশ করে দাবি করেছে তালিবানরাই তাদের একমাত্র আশা-আকাঙ্খার প্রতীক। নারী স্বাধীনতার দাবিতে যখন আফগানিস্তানে এর আগে তালিবান বিরোধী মিছিল হয়েছে সেখানে এধরনের মিছিল-সমাবেশ অভিনব ঘটনা। স্পুটনিক
[৩] মিছিলে নারীদের হাতে আফগানিস্তানের তিন রংয়ের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পতাকার বদলে নতুন পতাকা শোভা পাচ্ছিল। সাদা রংয়ের ওই পতাকায় কালো রংয়ে কালেমা লেখা ছিল।
[৪] তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন এ সরকার অন্তর্বর্তী তবে আগামী সরকারে মন্ত্রিসভায় নারীদের নেওয়া হবে। তারা আফগান সরকারের অংশ হবেন। শরীয়া আইনকে সন্মান জানিয়েই তা করা হবে।
[৫] এর আগে দেশটির দাশতে বারচিতে নারীদের সরকারে না নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়।
[৬] কাবুলের পতন ও তালিবানের ক্ষমতা গ্রহণের পেছনে দেশটির সাবেক ক্ষমতাসীন আশরাফ ঘানির সরকারকেই দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক আফগান রাষ্ট্রদূত রয়া রাহমানি। রয়টার্স
[৭] প্রথম কোনো আফগান নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছিলেন রয়া রাহমানি। তিনি বলছেন, তালিবানের ক্ষমতা গ্রহণে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হলেও বিস্মিত নন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি বছর তিনেক ধরে আফগান রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
[৮] রয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কাবুলের সরকার দেশকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের বিশাল দুর্নীতির কারণেই চূড়ান্তভাবে তালেবান দ্রুত বিজয়ের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পেরেছে। তালেবানের এই বিজয়ের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
[৯] রয়া আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিত্রদেশ’ পাকিস্তানের খুবই ঘনিষ্ঠ তালিবান। এখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে যেকোনো ধরনের দর-কষাকষিতে তালিবান ইস্যুকে ব্যবহার করবে ইসলামাবাদ। তার দাবি, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবার এক নতুন পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে।’