ইমরুল শাহেদ: সরকারি অনুদান বা বেসরকারি লগ্নী - কোনোটাই চলচ্চিত্র নির্মাণের গতি ফিরিয়ে আনতে পারছে না। নির্মাতারা আস্থা স্থাপন করতে পারছে না, যে অর্থ লগ্নী হবে সে অর্থ আদৌ ফিরে আসবে কিনা। সিনেমা হলের উপরও নির্মাতারা আস্থা রাখতে পারছেন না। কারণ সিনেমা হলে দর্শক সমাগম এখনো তেমন একটা জমে উঠেনি। আদৌ কি হবে সেটা তারা উপলব্ধি করতে পারছেন না।
কোটি টাকা দিয়ে ছবি বানিয়ে লোকসান গুণতে কেউ চাইছেন না। এখন বেশির ভাগ নির্মাতা বিকল্প পথ খুঁজে নিচ্ছেন। অনেক নির্মাতারই রয়েছে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। সংশ্লিষ্টরা নিজের চ্যানেলের জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে শুরু করেছেন। কেউ নির্মাণ করছেন মিউজিক ভিডিও, কেউ খণ্ড নাটক, কেউ রম্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। তাদের উদ্দেশ্য এখন সিনেমা হল থেকে পাওয়া শেয়ারের অর্থ নয়। তারা চান ভিউজ। পরিচালক সমিতির একজন সদস্য জানালেন, তিনি নিজেই চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু কোনো ছবিই তিনি ব্যবসা সফল করতে পারেননি। এজন্য তার হাতে থাকা ছবিগুলো নিয়ে তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল করেছেন। বললেন, সেখান থেকে তার এখন প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয়। পরিচালক দেওয়ান নাজমুল ‘উনিশ কুঁড়ি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন।
সেটির জন্য এখন কনটেন্ট তৈরি করছেন তিনি। সম্প্রতি ‘এই দেখাই শেষ দেখা’ এবং ‘অসমাপ্ত প্রেম’ নামে দুটি খণ্ড নাটকের শুটিং করে এসেছেন। শুরু করবেন ‘বন মানুষ’ নামে আরেকটি খণ্ড নাটকের কাজ। কোনো কোনো নির্মাতা ইতোমধ্যেই নিজস্ব অ্যাপস চালু করেছেন। বর্তমানে চলচ্চিত্রে লগ্নী করা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া শুরু করেছে ‘সিনেবাজ’ নামে একটি অ্যাপস। অনন্য মামুন আগে শুরু করেছেন ‘আইথিয়েটার’ নামে একটি অ্যাপস। এভাবেই বদলাতে শুরু করেছে চলচ্চিত্রশিল্পের অন্দর মহল।
আপনার মতামত লিখুন :