সোহাগ হাসান: [২] যমুনার পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে নদীর পানি। সেই সঙ্গে কমছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। তবে ভাটির দিকে এখনও বিপদসীমার উপরে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের (পানির সমতল পরিমাপক) আব্দুল লতিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] এদিকে বিপদসীমার নিচ দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হলেও চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো থেকে এখনও পানি নামেনি। এতে প্রায় ১ লাখ মানুষ এখনও পানি বন্দী জীবনযাপন করছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। বিভিন্ন প্রকার পানি বাহিত রোগ বালাই ও দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা কবলিতদের।
[৫] পানি কমার সঙ্গে জেলার কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও এনায়তপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে উঁচু সড়ক এবং স্কুল-মাদরাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
[৬] জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, জেলার ৫টি উপজেলার পানি বন্দি মানুষদের চাল ও নগদ টাকা সাহায্য দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
[৭] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বাঘাবাড়ি পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার উপরে রয়েছে। সেখানেও দ্রুতগতিতে পানি কমছে। আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
[৮] সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃরাম পদ রায় জানান, বন্যা কবলিত প্রতিটি ওয়ার্ডে মেডিকেল টিম কাজ করছে। এছাড়া খাবার স্যালাইন,ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :