স্বপন দেব: [২] তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন কুলাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত আরেক জন মাইক্রোবাস যাত্রী। মৃত ব্যক্তির নাম কামাল আহমেদ (৩৫)। তিনি দুর্ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া আফিফের বাবা।
[৩] সিলেটের লোহারপাড়া কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার ১২৩/১ বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মোট ৩ জন মারা গেলেন।
[৪] বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ খবর রাত সাড়ে ৯টায় জানিয়েছেন কামাল আহমেদের প্রতিবেশী রিজভী আহমেদ। ট্রেন দুর্ঘটনায় কামাল আহমেদের বড় ভাই লাবিব গুরুতর আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
[৫] তাছাড়া আরও ৪ জন আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটাল ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- লিলি বেগম (৪০), রাবু বেগম (২০), রিজু (২০) ও জাহানারা বেগম (৫৪)।
[৬] গত রবিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’টি মাইক্রোবাসে করে সিলেট থেকে কুলাউড়ার ভাটেরায় যাচ্ছিলেন নগরীর লোহারপাড়া এলাকার দুটি পরিবার। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুলাউড়ার ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামের প্রবেশের সময় একটি গাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে। অন্যগাড়িটি দূর্ঘটনায় পরে এতে ঘটনাস্থলেই ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও তার ভাইয়ের ছেলে আফিফ (৮) মারা যান। আহত হন ৬ জন।