রিংকু রায়: [২] নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২শ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর ক্লাশ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
[৩] করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী বিদ্যালয় খুললেও ওই বিদ্যালয়টির ক্লাশ করার কোন কক্ষ নেই। কারণ হিসেবে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ধীরগতির কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। এতে করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া শেষ বলে স্থানীয় শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান।
[৪] জানা গেছে, ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। সেই থেকে নির্মাণ কাজ আজও চলছে। আর দু’দিন বাদে বিদ্যালয় খুললেও ওই বিদ্যালয়ে ক্লাস করার নূন্যতম সুযোগ নেই।
[৫] বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১শ ৬১ জন। প্রধান শিক্ষক সহ ১৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে থাকা ৪টি কক্ষের মধ্যে ২টিতে বেঞ্চসহ আসবাবপত্রে মজুদ রয়েছে। একটি অফিস কক্ষ ও অপরটি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি কক্ষ রয়েছে।
[৬] সূত্রমতে, ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে ৪২ বৃত্তিসহ ৮২ জন এ প্লাস, ২০১৮ সালে ৪৮ বৃত্তিসহ ৭১ জন এ প্লাস এবং ২০১৭ সালে ৪৬ বৃত্তিসহ ৪৭ এ প্লাস অর্জনের গৌরব রয়েছে।
[৭] ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রমের কোন সুযোগ নেই। কোথায় ক্লাস নেওয়া হবে তা ভেবে পাচ্ছি না।
[৮] মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিপালী সরকার বলেন, আমি প্রতিদিনই ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য তাগিদ দিচ্ছি। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, করোনার কারনে সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন ভবনের ফিনিশিং কাজ চলছে। স্বল্পতম সময়ে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিয়েছি।সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :