হারুন-অর-রশীদ: [২] ওজনে কম দেওয়া, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য ফরিদপুরে নামকরা দুটি মিষ্টির দোকানসহ দুটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
[৩] এর মধ্যে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে বাগাট রাজকুমার মিষ্টান্ন ভান্ডার ও বাগাট ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন মিষ্টি ছাড়াও বিশেষ করে এক কেজি দইতে ৭০০ গ্রাম দই বিক্রি করে আসছিল। অর্থাৎ প্রতি কেজি দইতে ৩০০ গ্রাম করে দই কম দিয়ে আসছে।
[৪] মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের গোয়ালচামট ও নিলটুলী এলাকায় অবস্থিত পৃথক চারটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান আদালত। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ইমাম রাজী। র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা এতে সহায়তায় করেন।
[৫] এ সময় বাগাট রাজকুমার মিষ্টান্ন ভান্ডার ও বাগাট ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে ভেজাল খাবার পরিবেশন করায় সুইট হোটেল এ্যান্ড রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার টাকা এবং রান্নার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে খন্দকার চাইনিজ রেস্তোরাঁকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৬] এ বিষয়ে ফরিদপুরের জৈষ্ঠ্য কমিশনার ইমাম রাজী এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিষ্টান্ন ভান্ডার দুটি প্রতি কেজি দই বিক্রি করে বিক্রেতাকে ৩০০ গ্রাম পরিমাণ দই কম দিচ্ছিলেন। ক্রেতা এক কেজি দই কিনে প্রতি কেজিতে ৭০০ গ্রাম দই পাচ্ছিলেন। যার ফলে প্রত্যেক ক্রেতা প্রতারিত হচ্ছিলেন এবং বিক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছিল।
[৭] একই অভিযোগে বাগাট রাজকুমার মিষ্টান্ন ভান্ডার ও বাগাট ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে পঞ্চাশ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :