ডেস্ক রিপোর্ট : চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে নিজের স্বর্নের দুল বন্ধক রেখে দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেন নাজমা বেগম। প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা সুদে এই টাকা দেন ওই দাদনদার। তিন সপ্তাহ সুদের টাকা দিতে না পারায় দলবল নিয়ে এসে ওই নারীর স্বামীকে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে তার কান কেটে নিয়েছে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া। কালের কণ্ঠ
নাজমা বেগম বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়ার এনামুল হকের স্ত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নাজমা বেগম জানান, তার স্বামী এনামুল হক একজন সিএনজি চালিত অটোচালক। অন্যের গাড়ি ভাড়া চালিয়ে যা পায় তাই দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে। তিন মাস আগে তার অসুস্থতার কারণে প্রতিবেশী কোরবান আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার (৪৫) কাছ থেকে আট আনি সোনার কানের দুল বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলেন। এজন্য তাকে প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা সুদ দিতে হতো।
অসুস্থতার কারণে গত ২/৩ সপ্তাহে সুদের টাকা দিতে না পারায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া তার ৪-৫ জন সহযোগী নিয়ে এসে তার স্বামী এনামুল হককে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ইট দিয়ে কান থেতলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :