খালিদ আহমেদ: [২] গত ৩১ আগস্ট বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। এ মৌসুমে মোট ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ টন ধান ও চাল সংগ্রহ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ লাখ ৮৫ হাজার টন।
[৩] গত বছরও বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর। যদিও এ বছর সে তুলনায় সংগ্রহ বেড়েছে।
[৪] বিশ্লেষকরা বলছেন, চালের এ ঊর্ধ্বমুখী দামের বাজারে সরকারের সংগ্রহ কর্মসূচির ব্যর্থতা কিছুটা চিন্তার বিষয়। কারণ সরকারি গুদামে চালের মজুত কমে গেলে বাজারে তার প্রভাব পড়ে, চালের দাম বেড়ে যায়। সেই পরিস্থিতি এড়াতে বেশি বেশি সরকারের চাল সংগ্রহ করা প্রয়োজন। আমদানির মাধ্যমে সেটা সাময়িক পূরণ হলেও তা স্থায়ী ও কার্যকর সমাধান নয়।
[৫] খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন বলছে, সমাপ্ত বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ছয় লাখ টন। যেখানে সংগ্রহ হয়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৪৫ টন। এছাড়া ১২ লাখ ৩৫ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এসেছে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৪১২ টন। অন্যদিকে দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় মিলেছে ৮৫ হাজার ৫১৬ টন।
[৬] খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা ধানের ক্ষেত্রে সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেক পূরণ করতে পারিনি। তবে চালের সংগ্রহ ভালো হয়েছে। আমরা বেশি কেনার জন্য এ বছর দাম বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় সংগ্রহ পুরোটা হয়নি।
[৭] তিনি আরো বলেন, চালের ক্ষেত্রে কিন্তু অবস্থাটা ভালো। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি আমাদের ১০ লাখ টন চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করেছিল। কিন্তু পরে আমরা আরও এক লাখ ৩৫ হাজার টন কেনার আলাদা লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম। ওই ১০ লাখ টন আমরা অতিক্রম করেছি। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
[৮] খাদ্য অধিদপ্তর থেকে আরও সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাতে সাড়া দেয়নি। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ
আপনার মতামত লিখুন :