রাকিবুল আবির: [২] মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্যাসী উইরাথুর বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষী ও বিরোধিতার অভিযোগ তুলেছিলো ক্ষমতাচ্যূত অং সান সু চির সরকার। তার এই অভিযোগের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তাকে। তবে মুসলিম বিরোধী এই সন্যাসীকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। আলজাজিরা
[৩] সোমবার এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সন্যাসী উইরাথুকে এক ধর্মীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিলো, যা গোটা মিয়ানমারকে আঘাত করেছে। তার বিরুদ্ধে থাকা সকল অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আরো জানানো হয়, সন্যাসী উইরাথু এখন একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
[৪] মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় শহর মান্ডালয় থেকে আসা সন্যাসী উইরাথু ২০০১ সালে প্রথম মুসলিম বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৩ সালে এই অপরাধের দায়ে প্রথম জেলে যান তিনি। মুক্তি পান ২০১০ সালে। মুক্তি পাওয়ার পর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাজিয়ে দেওয়ার ঘটনায়ও ভূমিকা রাখেন তিনি।
[৫] তিনি একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বদা সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। এমনকি আন্তঃধর্মীয় বিবাহকে কঠোর করতেও সফল হয়েছিলেন তিনি।
[৬] এধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ২০১৭ সালে মিয়ানমারের বৌদ্ধ কর্তৃপক্ষ তাকে এক বছরের জন্য ধর্ম প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। ২০১৮ সালে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
[৭] পরবর্তিতে অং সান সু চির সরকার ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গত বছর গ্রেপ্তার করেছিলো। তবে সরকারের ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর সম্প্রতি তাকে আবারো মুক্তি দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। সম্পাদনা : রাশিদ