শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪৭ দুপুর
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে মুসলিম স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন ‘সুরা মসজিদ’

ডেস্ক নিউজ: দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন স্থাপত্যের সাক্ষী এ মসজিদটি প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর আগে নির্মিত। ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে হিলি-ঘোড়াঘাট সড়ক ধরে চৌগাছা এলাকায় গেলেই দেখা মিলবে সুরা মসজিদের।

দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটির নির্মাণশৈলী একনজর দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজারো পর্যটক। স্থানীয় দর্শনার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের জেলা থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী মানুষের আনাগোনা থাকে মসজিদজুড়ে।

এদিকে সুরা মসজিদের নির্মাণকাল নিয়েও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। কেউ কেউ এ মসজিদকে সৌর মসজিদ বলে ডেকে থাকেন। আবার কেউ বলেন সুরা মসজিদ। কারো কাছে এ মসজিদ শাহ সুজা মসজিদ নামেও পরিচিত। একেকজনের কাছে একেক নামে পরিচিত ঐতিহাসিক এ নির্দশনটি।

মসজিদটির বাইরের দিকের আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৪০ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ২৬ ফুট। চার ফুট উঁচু মজবুত প্ল্যাটফর্মের ওপর মসজিদের কাঠামো গড়ে উঠেছে। এর প্রধান কক্ষের আয়তন ভেতরে ১৬ দশমিক ১৬ ফুট। প্রধান কক্ষের সঙ্গে যুক্ত আছে ছয় ফুট প্রশস্ত রাস্তা। পুরো মসজিদের দেয়ালে অসংখ্য খোপকাটা মৌলিক টেরাকোটার অলংকরণ, যা এর ইমারতের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

সুলতানি আমলের বিরল স্থাপত্য সুরা মসজিদ প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। নামাজের কক্ষ ও বারান্দা। মসজিদটির ওপরে বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট নামাজ কক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি বারান্দা রয়েছে। নামাজের কক্ষের মাপ ৭ দশমিক ৮৪মিটার বাই ৭ দশমিক ৮৪মিটার এবং বারান্দার মাপ ৪ দশমিক ৮৪ মিটার লম্বা ও ২ দশমিক ১২ মিটার চওড়া। চুন সুড়কির সাহায্যে ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত মসজিদের দেয়াল ১ দশমিক ৮০ মিটার প্রশস্ত। নামাজ কক্ষের চার কোণে চারটি ও বারান্দায় দুটি কালো পাথরের মিনার রয়েছে।

মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে তিনটি ও উত্তর দক্ষিণে একটি খিলানকৃত প্রবেশ পথ রয়েছে। বারান্দার উভয় পাশেও একটি করে প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের ভেতরে কেবলা দেয়ালে তিনটি সুন্দরভাবে অলংকৃত পাথরের তৈরি অবতল মিহরাব রয়েছে। মসজিদের ইটের সঙ্গে পাথরের ব্যবহার, দেয়ালের মাঝে পাথরের স্তম্ভ, ইটের গাঁথুনি চোখে পড়ার মতো।

এ ছাড়া প্রত্যেক দরজার নিচে চৌকাঠ রয়েছে। সেগুলো পাথরের তৈরি। পূর্বে মসজিদে প্রবেশের সিঁড়ি আছে। এখানকার কালো ও বেলে পাথর বাঙলার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত রাজমহল থেকে আনা হয়েছে বলে মনে করা হয়। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়