শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪৩ দুপুর
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী: ভরসার আস্থান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দীপক চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রীকে এক সময় ধারণা দেয়া হয়েছিল বিশ্ব ব্যাংকের অনুমোদন বা টাকা ছাড়া আমাদের দেশের কোনো উন্নয়ন হয় না। কিন্তু এই পদ্মাসেতু নিয়ে একটা মিথ্যা অভিযোগ বিশ্বব্যাংক উত্থাপন করলে সেটাকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ করেন এবং তাদের অর্থ ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই সেতু আজ দৃশ্যমান। পদ্মাসেতু প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই পাশাপাশি, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ, এলএনজি আমদানী করে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিল্পোন্নয়ন, ফ্লাইওভারসহ সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ বাংলাদেশ চূড়ায় উঠেছে। বিশ্বের বাঘা বাঘা নেতারা অবাক হয়ে যান দেশটির অগ্রগতি দেখে। আসলে এর জন্য ত্যাগ ছিলো, সততা ছিলো, ভালবাসাও ছিলো। রাজনীতিতে ভালবাসার বিকল্প নেই। মানুষকে ভালোবাসতে হয়- এটা বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।

একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলার নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষ মাথা যাতে উঁচু করে দাঁড়াতে পারে- এ স্বপ্ন ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি গরীব-দুঃখী মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন, তাদের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাদের চাওয়া পাওয়া জানতেন, মনের খবর রাখতেন। বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি, মাথানত করেননি। তাঁর দেশপ্রেমের, অপরিসীম সাহসের, আদর্শিক চরিত্রের কিছুটাও যেনো আমরা অনুসরণ করি।

গোটাদুনিয়ার রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করলেও দেখা যায়, গণমানুষের রাজনীতি আর ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র এক জিনিস নয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এদেশে প্রকৃত রাজনীতিবিদেরা বাঙালিদের মনের কথা জানতে চান আগে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটি জানতেন। বাঙালিরা কী চায়, তাদের উদ্দেশ্য কী এটা আগে জানার চেষ্টা করতে হবে রাজনীতিকদের, বঙ্গবন্ধু তা-ই করেছিলেন। ১৯৭৫-এ সেই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন দেশে হত্যার পর তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে কীভাবে দুনিয়া থেকে নির্মূল করা যায়- এমন অসৎ উদ্দেশ্যে ১৭ বার চেষ্টা চালালো ঘাতকের দল। ২০০৪-এর আগস্টে গ্রেনেড, বোমা, গুলি চালিয়ে হামলা করা হলো। এদেশে হত্যা, জঙ্গি আমদানি, জঙ্গি হামলা কিছুই বাদ গেলো না। হেফাজত ইসলামকে লেলিয়ে দিয়েছিলো বিএনপি। সারাদেশে সন্ত্রাস, বোমা হামলা, পেট্রালবোমা হামলা চালানো হলো। নানারকম চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটাতে কি না করা হয়েছিল? শেষপর্যন্ত জনগণই ওদের উল্টো দমন করে দিলো। একপর্যায়ে বৈশি^ক সমস্যা হয়ে উঠলো জঙ্গি। সেই জঙ্গি-সন্ত্রাসকে কীভাবে শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার সঙ্গে দমন করেছেন তা এখন বিদেশেও প্রশংসার সঙ্গে আলোচনা হয়।
কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করছি, যে বিষয়গুলো মানুষের মন কাড়ে এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘দরিদ্রের ঘরপ্রাপ্তি।’ অতিদরিদ্র ও ভূমিহীনদের নতুন ঘর প্রাপ্তি তাদের আনন্দ ভীষণভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ, তারা মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েছিলেন। বিনামূল্যে শুধু স্থায়ী ঠিকানাই নয়, পাওয়া নির্মিত বাড়িগুলোও বেশ উন্নতমানের। প্রতিটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাবেন বাড়িসহ দুই শতক জমির মালিকানা- এমনটি ঘোষণা ছিল। গতবছর আমরা সংবাদ লিখেছিলাম, ‘আশ্রায়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষে নির্মিত হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য এই ‘স্বপ্নের নীড়’। সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন প্রায় ৯ লাখ পরিবারকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন প্রতিটি পরিবারই পাচ্ছে একক ঘর, আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা।

বিপুলসংখ্যক অসহায় মানুষ শুধু পুনর্বাসিতই হবেন না, দেশের দারিদ্র্যবিমোচনেও ভূমিকা রাখবে। এটা ভীষণভাবে দরিদ্রদের আনন্দিত করছে। আমরা জানি, সুবিশাল অর্জনে সমৃদ্ধ শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন। এরমধ্যে এটিও একটি। পাকা ঘর পাওয়া সেতো কল্পনারও অতীত ছিলো। সেমিপাকা প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দুটি বেডরুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুইটি কক্ষের ঘর। ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশের পর ঘর বানিয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।

এটা কেনো যেনো চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, শেখ হাসিনা জীবন সংগ্রামী একজন জননেত্রী। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও আস্থার জায়গা। এদেশের মানুষের একমাত্র আশা-ভরসার স্থান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নতুন পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা আজ প্রমাণিত। তাঁর কল্যাণমুখী নেতৃত্বে বাংলাদেশ নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা এখন তো পরিষ্কার যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর শুধু রক্তের উত্তরাধিকারই নন, শেখ হাসিনা আদর্শেরও যথার্থ উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতি এক ও অভিন্ন সত্তা।

এটাই আসল সত্য যে, এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত, ঘৃণিত ও দলিত করার কৌশলে শ্রেষ্ঠ বিএনপি নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের প্রতিশোধে। এ দলটি দীর্ঘ সময় দেশে ক্ষমতায় থাকলেও গরিব মানুষের জন্য কিছু করে দেওয়ার চিন্তাও করেনি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নিকৃষ্টভাবে দল গঠন করার কীর্তি দলটির আছে।

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়